মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নোয়াখালীতে আ.লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ

গুলিবিদ্ধ ১৭

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক শিশুসহ ১৭জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খলিফারহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন রামহরিতালুক গ্রামের সবুজ (২৩), শান্ত (১২), বারাইপুর গ্রামের সোলায়মান (২৮), সুমন (২৩), সুজন (২৪), আলমগীর (৩০), মিরাজ (২৪), জসিম উদ্দিন (৪৫), ওহিদুল ইসলাম (৩০), মাসুদ (৩৫), মঞ্জু (২২), জিয়া উদ্দিন (২০), মনির আহম্মদ (২৭)সহ ১৭জন। অপর আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ১০জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ৮নং ইউপি সদস্য জহির উদ্দিনের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপনের বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে পূর্বেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটা ঘটেছে।
জহির মেম্বার অভিযোগ করেন, গত বছরের ১১ডিসেম্বর দুপুরে শিপনের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার মাথায় গুলি ও তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের মধ্যে ৪জনকে জামিন দেয় এবং জহির, রফিকুল ইসলাম রাছেল ও পনির জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে মামলা জামিনপ্রাপ্তরাসহ শিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুনরায় তার বাড়ীতে হামলা ও গুলি চালায়। এতে তার ১০জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, শিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা খলিফারহাটে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
জহির মেম্বারের অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপন বলেন, বিকেলে তিনি তার জামিনপ্রাপ্ত সমর্থকসহ ১৪জন তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি যোগে এলাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় তারা জহির মেম্বারের বাড়ীর সামনে পৌঁছলে মেম্বারের লোকজন তাদের উপর অতর্কিত গুলি চালায়। এতে তিনিসহ ৭জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যার মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিরাজ ও আলমগীরকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, শিপনের নেতৃত্বে জামিনপ্রাপ্তরা জহির মেম্বারের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ছররা গুলিতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nannu chowhan ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৭ এএম says : 0
Eakhon polish keno eaishob ostrobaj shontrashider biruddhe mamla o dhor pakor korena?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন