শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

নতুন দায়িত্ব নিয়েই হলের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রভোস্ট ড. একরাম হোসেন

রাবির লতিফ হল সংস্কারের উদ্যোগ প্রশাসনের

মিজানুর রহমান রানা,রাবি | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৯ পিএম | আপডেট : ১:৩১ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯

রাবির হলে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন গত ৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশের পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী হল নবাব আবদুল লতিফ হলের ছাদ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সংস্কার কাজে প্রায় ৪৪ লক্ষ্য ৪৯ হাজার ৯৯ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ও হল প্রশাসন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তাছাড়া অন্যান্য হলগুলোর সংস্কারেও বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবাদটি ইনকিলাবের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের ফেসবুক আইডি ও ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি গ্রুপে সংবাদটি শেয়ার করা হলে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
১৯৯৪ সাল থেকে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে আসলেও হলে নামমাত্র সংস্কার ছাড়া তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। হলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি ইনকিলাবের অনুসন্ধানী রিপোর্টে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার পর ২৬ বছরেরও কেন এখন পর্যন্ত হলের সংস্কার করা হলো না’ এ নিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু করলে টনক নড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। একপর্যায়ে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদমাধ্যমেও একের পর এক প্রকাশ হতে থাকে সংবাদটি। অবশেষে বহুল আলোচিত এই হলটির সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এদিকে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. একরাম হোসেন হলের নতুন প্রভোষ্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে হলের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপসহ হলে অবস্থানরত অবৈধ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করায় হলে তিনি ইতোমধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি তার এই অবস্থান দায়িত্বের শেষ পর্যন্ত বজায় রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, ইনকিলাবের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ২৬ বছর আগে পরিদর্শনে আশা বিশেজ্ঞদের মতামত, ৩২৫ আবাসিক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ঝুঁকি, ১৯৯২ সালে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা, সম্পূর্ণ হল আগুনে পুড়ে যাওয়া ও ৩৬২, ৩৬৪ নম্বর রুমের শক্তিক্ষমতা মাত্র ১৫ পারসেন্টের কম থাকায় বিপদের আশঙ্কা করে পুরোপুরি ব্লক করে দেয়া ও ১৯৯৪ সাল থেকে হল প্রশাসনের সংস্কার আবেদনের তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। তাছাড়া লতিফ হল ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ হলের নামও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
হল প্রভোস্ট ড. একরাম হোসেন জানান, হলের সংস্কারের জন্য বাজেট ঘোষনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আশা করছি অতিদ্রুত এর সংস্কার কাজ শুরু হবে। তাছাড়া তিনি হলে অবস্থান করা অবৈধ শিক্ষার্থীদের বিতাড়ন ও বৈধ করে নেয়া, গণরুম, রিডিং রুম, দ্রুত গতির ওয়াইফাই সংযোগ, বাতরুম সংস্কার, ডাস্টবিন, টিউবওয়েলসহ হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিজ উদ্যোগে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে হলের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ আরো অনুসন্ধানী ও তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য ইনকিলাবকে আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া জানান, হলগুলোর সংস্কারে প্রায় ২২ কোটির মত টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত বাস্তবায়ন ও কাজ শুরু হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন