শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

রাখাইনে ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ

ত্রাণ বঞ্চিত অর্ধলক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১১ এএম

মিয়ানমারের নতুন সরকার দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে বাস্তুচ্যুত লোকদের মধ্যে দাতব্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকার অন্তত ৫০ হাজার লোক ত্রাণ বঞ্চিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এক অভ্যন্তরীণ নোটে এ কথা বলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চলতি মাসে রাখাইন রাজ্য সরকার বেসরকারি সংস্থা ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে রাজ্যের উত্তরের পাঁচটি শহর ও মধ্যাঞ্চলে সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে প্রবেশে নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ওই সব এলাকায় প্রবেশের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবিক সম্পর্ক সমন্বয় বিষয়ক দপ্তর ইউএনওসিএইচএ স¤প্রতি মধ্য রাখাইনের কেয়াউকত ও পোনাগাইউন শহরে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে দাতব্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এর সারসংক্ষেপ করে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মন্তব্য সংগ্রহের জন্য নোটাকারে তা বুধবার পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের কাছে এ সংক্রান্ত নোট হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করায় ওই এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি,স্কুল নির্মাণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ আগে থেকে চলে আসা প্রকল্পগুলো কাঁটছাঁট করতে হয়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে। উদহারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কেয়াউকতে ‘১৫টি গ্রামে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হতো, যার মধ্যে মোট ১৭ হাজার লোক অর্ন্তভূক্ত ছিল, এর আওতায় প্রতিমাসে ১ হাজার ৬০০ লোক সেবা পেতো। এই সেবা এখন স্থগিত রাখা হয়েছে।’ ‘পোনাগাইউনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ২২০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল, যার মধ্যে রেফারেল সেবাও ছিল। এগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।’ ইউএনওসিএইচএ জানিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের কারণে প্রায় পাঁচ হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বৌদ্ধ আশ্রম ও অন্যান্য এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনের স্বাধীনতার দাবিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। চলতি মাসে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে আরাকান আর্মিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট উেইন মিন্ট মিয়ানমারের নেত্রি অং সান সু চির একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত। রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন