বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হয়

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ভুল রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক দলকে এখন হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হয়। বিএনপি এত ভ্রান্ত রাজনীতি করেছে এবং আকণ্ঠ দুর্নীতিতে এমনভাবে নিমর্জিত হয়েছে যে ভাড়ায় তাদের নেতা এনে দল চালাতে হচ্ছে।
তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। দলের প্রধান খালেদা জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত। দ্বিতীয় প্রধান তারেক জিয়াও দন্ডপ্রাপ্ত। ভাড়ায় ড. কামাল হোসেনকে তারা দলের নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন। তিনিও নির্বাচন করেননি। মানুষতো বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বিপর্যয়ের অবস্থা বুঝতে পেরে তারা নির্বাচনে আসছেনা।
গতকাল শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে আমন্ত্রণ করে বাড়ি থেকে নিয়ে আসব না। তারা এসে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের যোগ্যতা আছে কিনা প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদের। বিএনপিকে আমরা নিমন্ত্রণ করে নির্বাচনে আনবোনা। তারা নির্বাচনে আসলে অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রমাণিত হবে, বিএনপিকে মানুষ চায় কি চায় না।
মন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, এই মন্ত্রণালয়ে আমি যোগদান করার পর প্রথমই আমি আমার কার্যক্রম শুরু করেছি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে। কোনভাবে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি যদি পাওয়া যায়, তিনি কর্মকর্তাই হোন, আর কর্মচারীই, হোন কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমার মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স থাকবে।
মন্ত্রী নয়া সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহার বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, গ্রামের মানুষকে নগরের সুবিধা দেয়ার জন্য যত প্রকার সেবা মূলক সুযোগ সুবিধা গ্রামে নিয়ে আসা যায় সেটা আমরা নিয়ে আসবো।
এ সময় গণপূর্ত গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর্জা শিবলী মাহামুদ, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, পিরোজপুর, নাজিরপুর, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়াম লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শণ বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দুপুরে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মন্ত্রী মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
মনন ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৫ এএম says : 1
ভুল কে করেছে সেটা যদি অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসা লোকের কাছ থেকে বিএনপিকে জানতে হয় সেটা হবে দু:খজনক। নিজের চরকায় তেল দেয়ায় ভালো।
Total Reply(0)
মীর হোসেন ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৬ এএম says : 1
ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসে েএত বড় বড় কথা বলা সাজে না। সঠিক ভৈাট দিয়ে ক্ষমতায় এসে তারপর বলেন।
Total Reply(0)
সাহেদ শফি ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৭ এএম says : 1
ইনশায়াল্লাহ যেদিন আপনারা ক্ষমতাচ্যুত হবেন সেদিনের পর পৃথিবীর সবেচেয় পাওয়ার আলা লাইট দিয়ে খুঁজেও আপনাদের পাওয়া যাবে না।
Total Reply(0)
মতিন আব্দুল্লাহ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 1
বিএনপি নয় ভুল আপনারা করেছেন ভোট চুরি করেছেন। েএরজন্য খেসারত দিতে হবে।
Total Reply(0)
শেখ নাসের ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 1
আপনাদের হারিকেন দিয়ে খোঁজার সময় আর বেশি দূরে নয়। কথা কম বলাই ভালো।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:১৪ এএম says : 0
আমি প্রবাসে বসে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর প্রথমেই ইন্টার-নেটে ইনকিলাব পত্রিকাটা খুলে পড়া শুরু করি এবং কোন কোন সংবাদের উপর মন্তব্য করে থাকি আবার অনেক সময় শরীরটা ভাল না থাকলে শুধু পড়েই ছেড়ে দেই পরদিন সকালে উঠে মন্তব্য লিখি। তবে চেষ্টা করি প্রতিদিনই মন্তব্য করতে। আজ আমি আমাদের ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিঃ যখন ঢাকায় ২৭ জানুয়ারি ভোর ৫টা ৪৫মিঃ পত্রিকা খুলে দুটা সংবাদের উপর মন্তব্য লিখে তৃতীয় সংবাদ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের মন্তব্য পড়ে মনে হল লিখতে এখন এখানে সন্ধ্যা ৭টা ৩৭মিঃ। আমি যে দুটা লিখা লিখেছি তারমধ্যে একটা ছিল রাজনীতির উপর সেটা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পেশজীবিদের নিয়ে কথা, তাদের রাজনীতিতে কেন আবির্ভাব??? এর কারন হচ্ছে আমাদের মন্ত্রী রেজাউল সাহেবের পেশার লোক মানে আইনজীবীদের জন্যে। দেশের রাজনীতি সাধারণত আইনজীবিরাই করে থেকেন কারন সংসদ হচ্ছে আইন প্রণয়নের জায়গা সেখানে থাকবেন আইনজীবীরা কিন্তু ’৭৫ এরপর আমাদের দেশের সংসদ চলেগেছে ব্যাবসায়ী আর পেশজীবিদের হাতে। এই কথা বলার জন্যে এই লিখা নয়। এখন আসবো আসোল কথায়ঃ মন্ত্রী রেজাউল করিম সাহেব তার দায়িত্ব নেয়ার পরই তিনি দুর্নীতির বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। আমি ওনার পাতায় একটা লিখা পড়ে সেটা আমার ষ্ট্যাটাসে সংযুক্ত করে ফেসবুকে প্রচার করে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। প্রচুর সংখ্যক শেয়ার করেছে এবং কমেন্ট এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম যে বিষয়টা লিখা হয়েছিল সেটার উপর মন্ত্রীর নজর পড়বে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে মন্ত্রী বাহাদুরের নজর সেদিকে পড়েনি। আমি ঐ লিখায় উত্তরা রাজউকের ২০১২ সালের উপ পরিচালক ও তার একজন ডিলিং অফিসার যিনি ১৩ নং সেক্টরের উপর কাজ করেন তাদের দুর্নীতি কথা লিখাছিলাম। আবারো আমি মন্ত্রী বাহদুরকে বলতে চাই একজন প্রবাসীর সাথে আপনার নিয়ন্ত্রিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভূমিদস্যুদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করে তখন আপনারা কিছুই করেন না এটাকি আইন??? আমারা দেশে থাকতে পারিনা কারন আমরা বিদেশে কাজ কাম চিকিৎসা পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হয়। কাজেই আমাদের সম্পদ ভূমীদস্যুরা আপনার লোকদের সহায়তায় আত্মসাথ করবে এটাকি আইন??? আমার স্বাক্ষর জ্বাল করে আপনার উপ পরিচালকের সহায়তায় আমার বলার পরও ভুয়া ডেভেলপারকে (তার ডেভেলপারের কাগজ আছে কি নেই এটা না দেখেই বাড়ি বানাতে অনুমতি দেয়াটা কিন আইন) বেআইনি ভাবে আমার নিষেধের পরও বিক্রয় অনুমতি দেয়া এবং আমাকে অপমানিত করে অফিস থেকে চলে আসতে বাধ্য করা কি আপনার লোকজনের কাজ?? আপনি একটা দুর্নীতি যেটা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং আদ্যবদি চলছে এই অপরাধটাই ধরুন এবং সমাধান করে উদাহরন সৃষ্টি করুন তারপর বলুন আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সে’ কাজ করছেন। বলাটা খুবই সহজ মন্ত্রী সাহেব কিন্তু করাটা খুবই কঠিন এটাই সত্য। আমি জ্বাল স্বাক্ষর আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণ করার পরও আপনার দপ্তর আমাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখাচ্ছে। আমি পাওয়ার আপনার দপ্তরের লোকের কথায় বাতিল করার পরও আপনার দপ্তর আইনকে ব্ররদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সেই বাতীল মেনে না নেয়াতে ভূয়া ডেভেলপার তার যা খুশী তাই করছে। সবচেয়ে বড় আশ্চার্য হচ্ছে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আর ডেভেলপার আমি পরে জেনেছি তিনি একজন শিবিরের লোক হয়েও ভূমি দস্যুদের সহায়তায় এই শিবিরের লোক আপনার দপ্তরের সাহায্য পাচ্ছে কারন ভূমিদস্যুদের একজন আবার মাইনোরিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক এবং সেই সময়ের উপপরিচালকও ছিলে একই গোত্রের লোক। আমার জায়গা ১৩ নং সেক্টরের ৬ নং রোডে ২২ নং প্লট এই ফাইলা আপনি দেখলেই আপনার কাছে সবই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারন আপনি একজন আইনজীবী। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে যাহা বলি সেইভাবেই কাজ করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন