গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ভুল রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক দলকে এখন হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হয়। বিএনপি এত ভ্রান্ত রাজনীতি করেছে এবং আকণ্ঠ দুর্নীতিতে এমনভাবে নিমর্জিত হয়েছে যে ভাড়ায় তাদের নেতা এনে দল চালাতে হচ্ছে।
তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। দলের প্রধান খালেদা জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত। দ্বিতীয় প্রধান তারেক জিয়াও দন্ডপ্রাপ্ত। ভাড়ায় ড. কামাল হোসেনকে তারা দলের নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন। তিনিও নির্বাচন করেননি। মানুষতো বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বিপর্যয়ের অবস্থা বুঝতে পেরে তারা নির্বাচনে আসছেনা।
গতকাল শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে আমন্ত্রণ করে বাড়ি থেকে নিয়ে আসব না। তারা এসে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের যোগ্যতা আছে কিনা প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদের। বিএনপিকে আমরা নিমন্ত্রণ করে নির্বাচনে আনবোনা। তারা নির্বাচনে আসলে অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রমাণিত হবে, বিএনপিকে মানুষ চায় কি চায় না।
মন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, এই মন্ত্রণালয়ে আমি যোগদান করার পর প্রথমই আমি আমার কার্যক্রম শুরু করেছি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে। কোনভাবে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি যদি পাওয়া যায়, তিনি কর্মকর্তাই হোন, আর কর্মচারীই, হোন কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমার মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স থাকবে।
মন্ত্রী নয়া সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহার বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, গ্রামের মানুষকে নগরের সুবিধা দেয়ার জন্য যত প্রকার সেবা মূলক সুযোগ সুবিধা গ্রামে নিয়ে আসা যায় সেটা আমরা নিয়ে আসবো।
এ সময় গণপূর্ত গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর্জা শিবলী মাহামুদ, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, পিরোজপুর, নাজিরপুর, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়াম লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শণ বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দুপুরে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মন্ত্রী মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন