দু’ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বড় বিমান বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
জানা গেছে, দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে বর্তমানে যে বিমান যাতায়াত করছে তা এ রুটের যাত্রীদের তুলনায় ছোট এবং সেবা প্রদানে পর্যাপ্ত নয়। কারণ যে বিমানটি চলাচল করছে তা মাত্র ১৮০ জন যাত্রী বহনযোগ্য। অথচ এ রুটে প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজার হাজার যাত্রী। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। যাত্রীরা বলেন, দেশকে ভালোবাসি বলেই হাজারো দুর্ভোগের মধ্যেও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ইতোমধ্যে অনেক যাত্রী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে যাতায়াত করছে অন্য কোন বিমানে। আমরা এমনটি কখনোই আশা করি না। তাছাড়া দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মৃত্যু হলে দ্রুত দেশে পাঠানো যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, একদিকে ছোট বিমান অন্যদিকে লাশ পাঠাতে হয় আবুধাবি এয়ারপোর্ট থেকে যা দুবাই ও উত্তর আমিরাতের আজমান, শারজাহ, উম্মুলকুইন, রাস-আলখাইমাহ ও ফুজাইরাহ প্রদেশ থেকে আবুধাবি এয়ারপোর্ট শত শত কিলোমিটার দূরে। ফলে এতো দূর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে লাশ বা যাত্রীদের যাওয়া-আসা খুবই কষ্টসাধ্য এবং রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার লাশ পাঠাতে গিয়েও অপেক্ষা করতে দিনের পর দিন। তাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিমানমন্ত্রীর কাছে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীদের দাবি, খুব শিগগিরই দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে পুনরায় বড় বিমান চালু করা হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রায় ৮ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে বড় একটি অংশই বৃহত্তর চট্টগ্রামের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন