বিএনপি জামায়াতের নেতাদের মাঝে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন আগ্রাহ না থাকলেও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে বেশ তৎপরতা শুরু করেছে। বুধবার দুপুর ২ টায় গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কের হল রুমে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যেগে এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান চঞ্চল এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের সঞ্চলনায় বর্ধিত সভাটি পরিচালিত হয়। সভার শুরুতে সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন সংঘর্ষে জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহিত আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হকের উপর শোক প্রস্তাব করেন উনার আতœার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং আল্লাহর দরবারে দুয়া করা হয়। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩ টার সময় পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তার জন্য দোয়া মহফিলের আয়োজন করা হবে। ওই মহাফিলে সবাইকে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান করা হয়। তারপর কেন্দ্রীয় কমিটি নির্দেশিত চিঠিটি পড়ে শুনান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান। সভায় কমিটির সদস্য, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ, কিছু সাংবাদিক ছাড়া অন্য সবাইকে বের করে দেয়া হয়। সে সব প্রার্থী সাংগঠনিক বিধিমোতাবেক প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন তাদের নাম বর্ধিত সভায় ঘোষনা করা হয় গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৭জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ৯ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ২ জন মোট ১৮ জনের নাম পড়ে শুনানো হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান খাঁন, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষায়য়ক সম্পাদক, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: আকতাউজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সস্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রার্থী একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ, গোগ্রাম ইউপি চেয়রম্যান মোঃ মজিবুর রহমান। উল্লেখ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে এ্যাড. জেমস উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য মোবাইলে জানালেও তিনি নির্দিষ্ট সময়ে কাগজপত্র জমা না দেয়ায় তার প্রার্থীতা তারটি বাতিল হয়ে যায় বলে সভায় প্রধান অতিথি কামরুজ্জামান চঞ্চল ঘোষনা করেন। তিনি আরও ঘোষনা করেন যে কেউ যদি এখনও প্রার্থী হতে যান তবে এখনও প্রার্থী হতে পারেন। ওই সময় কোন সাড়া না পাওয়ায় ৭ জনই আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে ঘোষনা করা হয়। পরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন ত্যাগি নেতা হিসেবে পরিচিত গোদাগাড়ী পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সস্পাদক আব্দুল মালেক, ছাত্র লীগের জেলা সহসভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক প্রার্থী শফিকুল সরকার, গোদাগাড়ী পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোগ্রাম ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা ও আওয়ামীলীগ নেতা মৃত. ইয়ার আহম্মদের ছেলে আবু হাসান তৌহিদ আলম, গোদাগাড়ী পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ নাজমুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা খাবির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্বাস আলী,
মহিলা ভাইস চিয়ারম্যান হিসেবে তার আবেদন করেছেন ্এবং তাদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে তারা হলেন রাজশাহী জেলা মহিলা লীগের সভাপতি, উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী সুফিয়া খাতুন মিলি এবং উপজেলা যুব মহিলালীগের সভানেত্রী যোবাইদা ইয়াসমিন সুমি।
।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড়, একজন নেতা তার সমর্থকদের নিয়ে ফেসবুকে, চা চক্রে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কোনভাবে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। আগামী মার্চ মাসেই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর গোদাগাড়ীতে বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। উপজেলাবাসী দেখার অপেক্ষায় আছেন কারা হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী অর্থাৎ নৌকার মাঝি। এই নিয়ে চায়ের আড্ডায় আর মাঠে ময়দানে চলছে আলোচনা, উঠছে চায়ের কাপে ঝড়। তবে বিএনপি জামায়াত চুপ রয়েছে, তারা নির্বাচনে যাবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। ফলে এক রকম এক তরফা নির্বাচন হবে এমন ধারণা আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে বলেই প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের জন্য তোড়জোড়। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না এমন ধারণা থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা দিনে দিনে বড় হয়েছে। যে কোনদিন জীবনে নির্বাচন করার চিন্তাও করেননি তিনিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন। কেননা বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না আসলে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে পারলেই খুব সহজেই চেয়ারম্যান, ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হবার সম্ভাবনা বেশী থেকে মনোনয়ন চাইবেন অনেকইে। আওয়ামী লীগ বৃহৎ দল। সেখানে প্রত্যাশা বেশী এটা স্বাভাবিক । ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে পরাজিত হন। আর আগেও তিনি ২০০৯ সালে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তিনি ভোটের মাঠে চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান নির্বচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে রয়েছেন। তার পক্ষের লোকজন তার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সেভেন স্টারের বিরুদ্ধে লড়াকু ভূমিকা রেখেছিলেন, তার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে কাজ করেছিলেন, যা উপজেলাবাসী স্মরণ রেখেছেন। উপজেলা । বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গণসংযোগ ছাড়াও ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে হাতিতে চড়ে হাত নেড়ে জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। এ বর্ধিত সভায় প্রার্থী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান রবু মিয়া, গোদাগাড়ী পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ হায়দার আলী, াউপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ রকুনুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা গোদাগাড়ী সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা, মাটিকাটা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ রাজু, কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ সুজাউদ্দিন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন