১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স.)। দিনটি বিশ্ব মানবের ইতিহাসে শুভ, পবিত্র ও স্মরণীয় দিন। চৌদ্দশ সাতাশি বছর আগে এ দিনে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এমন যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভুত হন, যখন মানব সভ্যতার লেশ মাত্রও অবশিষ্ট ছিলনা। সমগ্র পৃথিবী তখন জাহিলিয়্যাতের অতল সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল। কোথাও ছিল না শান্তি, কোথাও ছিল না স্বস্তি। হিংসা, বিদ্বেষ, যুদ্ধ, সংঘাত, অনাচার, খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি, হত্যা-রাহাজানি সর্বপ্রকার অন্যায়, অপকর্ম ও পাপাচারে মানুষ ছিল লিপ্ত। ধর্মের নামে সর্বত্র বিরাজ করছিল র্শিক, কুফর আর ধর্মহীনতা। নারী সমাজ পরিণত হয়েছিল পণ্য সামগ্রীতে। তাদের ছিলো না কোন অধিকার, ছিলো না কোন মর্যাদা। এমনি অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সুবেহ সাদিকের সময় বিশ্ব জগত আলোকোজ্জ¦ল করে জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক, বিশ্ব জাহানের মুক্তির দিশারী, সাইয়্যিদুল মুরছালিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নবীয়্যিন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.)।
রাসুলে পাক (স.) এর আগমনে ধন্য হয়েছিলো সমগ্র সৃষ্টি জগৎ , মুখ থুবড়ে পড়েছিল দীর্ঘকালের যাবতীয় অন্ধকার এবং বিকশিত হয়েছিল সত্য, সুন্দর, হেদায়তের সমুজ্জ¦ল রশ্মি। তিনি আগমণ করেছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ পাকের অনন্ত অসীম রহমতের জীবন্ত প্রতীক হয়ে। তিনি বহণ করে এনেছিলেন বিশ্বমানবের জন্যে চিরশান্তি ও চির নাজাতের পয়গাম। তারই উছিলায় সৃষ্টি হয়েছে মানব, দানব, জ্বীন-ফেরেশতা, আকাশ-বাতাস, গ্রহ-নক্ষত্র, গাছ-পালা, নদ-নদী, পশু-পাখি, পাহাড়-পর্বত, জীব-জন্তু, আরশ-কুরশী, লওহ-কলমসহ সমুদয় সৃষ্টি জগৎ।
হযরত মুহাম্মদ (স.) জন্মের ছ’মাস পূর্বেই তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। হুজুরের (স.) জন্মের পর তদানীন্তন আরবীয় রীতি অনুসারে মা আমিনা শিশু নবী মুহাম্মদ (স.) কে স্তন্য দানের জন্য বিবি হালিমা সাদিয়ার কোলে অর্পন করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিবি আমিনা আবার ফিরে পেলেন নয়নমণি আদরের দুলালকে। ছ’বছর বয়সে তাঁর মায়ের তত্ত্বাবধানে আসলেও পিতৃহারা বালক মাতৃস্নেহ বেশীদিন ভোগ করতে পারেননি। বিবি আমিনার মনে বাসনার উদ্রেক হলো, নিজের আদরের সন্তানকে নিয়ে মদিনায় গিয়ে প্রিয় স্বামী আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই মক্কা মদীনার মধ্যবর্তী ‘আবওয়া’ নামক স্থানে মা আমিনা ইন্তেকাল করেন। সেখানেই তিনি সমাহিত হন। মাতৃহারা হলেন শিশু নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (স.)। এ সময় উম্মে আয়মন নামে এক মহিলার সঙ্গে নবী করিম (স.) মক্কায় আসেন। অতঃপর সাত বছর দাদা আব্দুল মুত্তালিবের স্নেহের ছায়ায় লালিত-পালিত হতে থাকেন তিনি। নবী করীম (স.) এর বয়স যখন আট বছর দু’মাস দশ দিন, তখন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিবও ইহকাল ত্যাগ করেন।
বালক মুহাম্মদ এর উপর দিয়ে এমনি ধারায় বিপদ তরঙ্গ বয়ে যায়। এভাবেই দুঃখ বেদনাকে জয় করে শ্রেষ্ঠতম মানুষরূপে গড়ে উঠলেন নবী করীম (স.)। আব্দুল মুত্তালিবের ইন্তেকালের পর শিশু মুহাম্মদের দেখা শুনার দায়িত্ব নেন চাচা আবু তালেব। তাঁর সাহচর্যে এসে তিনি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন তিনি। যখন তাঁর বয়স বারো বছর দু’মাস দশ দিনে উপনীত হলো, আবু তালিব বাণিজ্য উপলক্ষে মুহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ার পথে যাত্রা করলেন। পথিমধ্যে ‘তাইমা’ নামক স্থানে কাফেলা যাত্রা বিরতি করলো। ঘটনা চক্রে ইহুদী পন্ডিত ‘বুহায়রা’ তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি নবী করীমকে প্রত্যক্ষ করে আবু তালিবকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আপনার সঙ্গে যে বালকটি রয়েছে সে কে?’ আবু তালিব বললেন, বালকটি আমার ভাতিজা। বুহায়রা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি তাঁর প্রতি স্নেহ পোষণ করেন এবং নিরাপত্তা কামনা করেন?’ উত্তরে আবু তালিব বললেন, নিঃসন্দেহে তা কামনা করি। তখন ইহুদী পন্ডিত বুহায়রা বললেন, ‘আপনি যদি ছেলেটিকে নিয়ে সিরিয়া যান তাহলে ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করে ফেলবে। কারণ আপনার ভাতিজা আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতি সে নবী- যিনি ইহুদী ধর্মকে বিলুপ্ত করে দিবেন। তিনি ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে তাওরাত কিতাবের মধ্যে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি। আপনি তাঁকে নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যান’। তখন বুহায়রার কথা মোতাবেক আবু তালিব মুহাম্মকে মক্কায় পাঠিয়ে দিলেন।
রাসূলে পাক (স.) এর বয়স যখন চৌদ্দ বা পনের বছর, তখন আরবের বিখ্যাত লড়াই ‘হারবুল ফিজার’ সংঘটিত হয়। নবী (স.) খুব অল্প বয়সেই সমাজে অশান্তি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও প্রতিরোধী হয়ে উঠেন। তিনি মাত্র ষোল বছর বয়সে অন্যায় অবিচার দমন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্যে ‘হিলফুল ফুজুল’ কল্যাণ সংস্থায় যোগদান করেন। এর মূলনীতি ছিলো (১) দূর্গত ও অসহায়দের সেবা করা, (২) অত্যাচারীদের প্রাণপনে বাঁধা দেয়া, (৩) দেশে শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা এবং (৪) বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে স¤প্রীতি স্থাপনের চেষ্টা করা। এভাবে সংগঠনের মাধ্যমে সমাজসেবা, সমাজ সংস্কার ও কল্যাণের মাধ্যমে নবী (স.) এর সুনাম দ্রুত গতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি অতি অল্প বয়সেই নিষ্ঠা, ভদ্রতা, সততা ও বিশস্ততা, ইনসাফপরায়গণতা ও আমানতদারী ইত্যাদি গুণের কারণে সমাজে ‘আল-আমীন’ উপাধিতে ভ‚ষিত হন।
রাস–লে করিম (স.) পঁিচশ বছর বয়সে মক্কার ধনী মহিলা হযরত খাদিজাতুল কুররার (রাঃ) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সুযোগে রাসুল (স.) হিংসা, বিদ্বেষ, কলহ-কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতায় জড়িত দিকভ্রান্ত আরব জাতিকে ন্যায় ও সৎ পথ প্রদর্শনের জন্য স্রষ্টার ধ্যানে একাধারে দীর্ঘদিন হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন। একদা জিব্রাইল (আঃ) মুহাম্মদদের (স.) সামনে এসে দ্ব্যর্থ কন্ঠে বললেন ‘ইক্বরা’ পড়–ন। তখন নবী করীম (স.) বললেন ‘মা আনা বিকারিয়্যিন’ অর্থাৎ আমি পাঠক নই। জিব্রাইল (আঃ) মুহাম্মদকে (স.) খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। তারপর আলিঙ্গন মুক্ত করে দিয়ে বললেন ‘ইকরা’ পড়–ন। হুজুর (স.) বললেন, ‘মা আনা বিকারিয়্যীন’ আমি পাঠক নই। এভাবে জিব্রাইল (আঃ) নবী করিমকে (স.) আরো দু’বার আলিঙ্গন করে “ইকরা” বললেন। নবী (স.) বললেন, ‘মা আনা বিকারিয়্যীন’ আমি পাঠক নই। চতুর্থবার জিব্রাইল (আঃ) বললেন, ‘পড়–ন আপনার প্রভুর নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি রক্তপিন্ড থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। পড়–ন, আপনার রব সবচেয়ে স¤মানিত।
মাহে রমজানের ২৭ তারিখ শবে কদর রাতে তিনি এ ওহী লাভ করেন এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবীর মর্যাদায় অভিষিক্ত হন। প্রথমে নাযিলকৃত ওহীসমূহ শুধু রাসূল (স.) এর জন্য প্রযোজ্য (আহকাম) ছিল। কিছুদিন ওহী বন্ধ থাকার পর পুনরায় ওহী নাযিল শুরু হয়। এতে তাঁকে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়। তখন নবী (স.) প্রথমে সাধারণভাবে সকলকে দাওয়াত না দিয়ে নিজের আপন লোকদের দাওয়াত দিলেন। সর্বপ্রথম হযরত খাদিজা (রাঃ), হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত সাঈদ ইবনে হারিছ (রাঃ) প্রমুখ ইসলাম গ্রহণ করেন। এভাবে মহানবীর নবুয়তী জীবনের সূচনা ঘটে।
রাসূলের (স.) নুবয়ত প্রাপ্তির পর শুরু হয় কুসংস্কার ও অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজ সংস্কারের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব। প্রথমেই তিনি মানুষের উপর মানুষের প্রভ‚ত্ব ও অসংখ্য দেবদেবীর পুজা মূল্যেৎপাটন করে এক আল্লাহর নির্দেশ ঘোষণা করলেন “ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহা¤মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।” এমনিভাবে অসংখ্য দেবদেবীর পুজা বাদ দিয়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্য মানব জাতিকে তিনি আহবান জানান।
নবী করিমের (স.) আহবানে স্বার্থান্বেষী মুশরিকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। লোভ, ভীতি, প্রদর্শন, হুমকী, হত্যার প্রচেষ্টা কিছুই তাকে এ মহান দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। আরবদের প্রচলিত ধর্মের উপর আঘাত হানার কারণে নেমে আসে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, অপমান-নির্যাতন এবং অমানুষিক অত্যাচার। এক পর্যায়ে রাসূল (স.) ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে রাতের অন্ধকারে মিট মিট তারার আলোয় দূর্গম পথ পেরিয়ে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা তাঁকে জানালো প্রাণঢালা অভিনন্দন ।
মদীনার সমুজ্জল পরিবেশে এসে রাসুল (স.) ইসলাম প্রচার শুরু করেন। একদিকে পবিত্র কুরআনের আগমণী সঙ্গীত এবং অন্যদিকে তরবারীর বিক্ষুব্ধ চাকচিক্যে সত্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করলেন তিনি। অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে তিনি এক ঘৃণিত এবং অবহেলিত জাতিকে সভ্যতার উচ্চ শিখরে আরোহন করালেন। নবী করিম (স.) ধৈর্য্য, ত্যাগ, সহিষ্ণুতা, বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তার সাথে সকল অবস্থার বিরোচিত মোকাবিলা করে হিজরতের পর মদীনায় দশ বছর অতিবাহিত করে ৮০ টির মতো যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন এবং সারা বিশ্বে ইসলামের পয়গাম পৌঁছে দিয়েছেন। অল্প সময়েই তিনি ইতিহাসে সর্বপ্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেন এবং মানব জীবনে এনে ছিলেন এক অভ‚তপূর্ব ইনকিলাব বা বিপ্লব।
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এই পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে মহান, সুন্দর ও মার্জিত স্বভাবের প্রতিচ্ছবি। বর্তমান অশান্ত বিশ্বকে শান্ত করতে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর আদর্শ ও নির্দেশাবলী অনুসরণ ও পালন একান্ত আবশ্যক। বিখ্যাত ইংরেজ লেখক বার্নাড শ বলেছিলেন, ‘বর্তমান অশান্ত বিশ্বে হযরত মোহাম্মদ মাস্তফা (দঃ) জীবিত থাকলে এক কাপ কফি পান‘ করতে যে সময় ব্যয় হয়, এই সময়টুকুর মধ্যে বিশ্বের তাবৎ সমস্যাবলীর সমাধান দিতে সক্ষম হতেন।’ আসুন আমরা বিশ্ব নবী (স.) ও তাঁর চরিত্রশোভার উপর সামান্য আলোকপাত করি। পবিত্র ক্বোরআনে আল্লাহতা’লা বর্ণনা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।’ হাদিসে বর্ণিত হযরত মোহাম্মদ (স.) স্বয়ং বলেছেন, ‘শিষ্টাচার, মার্জিত আচরণ ও উত্তম চরিত্রসমূহের সমাপন ও পরিপূরণের উদ্দেশ্যে আমি প্রেরিত হয়েছি।’’ বিশ্বনবীর চরিত্র ছিল কোমল ও উদার। পরনিন্দা, অশ্লীল ও অশিষ্ট বাক্য তাঁর পবিত্র মুখ থেকে কখনো নিঃসৃত হয়নি। তিনি কারো মনে কষ্ট দিতেন না, কারো সাথে অভদ্র আচরণ করতেন না। এমনকি উচ্চস্বরে বা শোরগোল করে কথা বলতেন না। হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত আছে, হযরত মোহাম্মদ (স.) সাহাবীদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতেন। এমনকি তাদের মনোরঞ্জনের জন্য মাঝে মধ্যে হাসি-উপহাস করতেন (কৌতুক)। তিনি বলতেন, ‘বাস্তব কৌতুকে কোন দোষ নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, হযরত মোহাম্মদ (স.) প্রফুল্লচিত্ত, উদার ও হাস্যরসপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। হযরতের ব্যক্তিত্বের মধ্যে ছিল অসাধারণ গাম্ভীর্য। তাঁর হাস্য-কৌতুক ছিল অর্থপূর্ণ। একদা তিনি তাঁর ফুফু হযরত সুফিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, বুড়ো মহিলারা জান্নাতে যেতে পারবে না। একথা শুনে সুফিয়া কাদতে লাগলেন, পরে নবী করীম (স.) এর ব্যাখ্যা দিলে তিনি শান্ত হলেন। হযরতের এ কৌতুকও অর্থপূর্ণ ছিল। কারণ আল্লাহতা’লা বলেছেন, যারা জান্নাতবাসী হবে, তারা সবাই যুবক-যুবতী হবে। এভাবে হযরত বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অর্থপূর্ণ মন্তব্য করে থাকতেন যার বর্ণনা এ স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা সম্ভব হবে না।
(চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন