ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। তিনি ছিলেন অসম্ভব সাহসী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী একজন গুণী সংগঠক, চিকিৎসক, শিক্ষক এবং আসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এক রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বৃহষ্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আয়োজনে এ ব্লক অডিটোরিয়ামে বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও বিশিষ্ট ডার্মাটোলজিস্ট মরহুম প্রফেসর ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, বিএমএ’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান মিলন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, ডা. সাহানা আখতার রহমান, ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ। মরহুম ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপনের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। স্মরণসভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান। ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন-এর জীবনী পাঠ করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ।
ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নে ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করে গেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে পারলে সেটাই হবে তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক-বাহক। তাঁর চরিত্রের সবচাইতে বড় গুণ তিনি ছিলেন অসম্ভব রকমের সাহসী। তিনি ছিলেন গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসক। তাঁর চরিত্রের অন্যতম মাধুর্য্য হলো সিনিয়রদের প্রতি তিনি ছিলেন সব সময়ই শ্রদ্ধাশীল।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন