শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী কাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০০ পিএম

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। ২০২১ সালর এই দিনে রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। মিজানুর রহমান খান ১৯৬৬ সালের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতায় তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সর্বশেষ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি সমকাল, যুগান্তর, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার, নিউনেশন, সাপ্তাহিক মানচিত্র এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল ও বিপ্লবী বাংলাদেশসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেন। বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখির কারণে তিনি আইন অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়। তিনি সংবিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের বিধি নিয়ে সাংবাদিকতায় সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ (১৯৯৫), ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট ও স্বরূপ বিশ্লেষণ’ (২০০৩), ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার: অশুভ চিহ্ন’ (২০০৯), ‘১৯৭১ আমেরিকান গোপন পত্র’ (২০০৬), মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকা- (২০১৩) ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি প্রথম সংবিধানের জেনেসিস ফিলোসফির ওপর একটি বিস্তৃত গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও গবেষণা করেছিলেন।

দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘মিজানুর রহমান খান স্মৃতি সংসদ‘ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট ভাই মসিউর রহমান খান বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। কাল সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন। দুপুরে কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে এতিমদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যাহ্নভোজ। একই দিনে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার স্টেশন রোডে মরহুমের নিজ বাড়িতে কোরআনখানি ও দোয়া এবং ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার মরহুমের পৈতৃক বাড়ি নলছিটির সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন