শহরের নলুয়া এলাকায় একটি মসজিদের কমিটি নিয়ে বিরুদ্ধের জের ধরে সংঘর্র্ষের পর ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হেসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না সহ ২২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুন্না বর্তমানে মহানগর শ্রমিক লীগের সেক্রেটারী।
১৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার ভোরে নলুয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রোববার গভীর রাতে মসজিদ কমিটির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে ২০ থেকে ২২ জন আহত হয়।জানা গেছে, ১৮নং ওয়ার্ডে নলুয়া জামে মসজিদ কমিটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেনের সঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার বিরোধ চলে আসছিলো। রোববার রাত ১২টা হতে ২টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপর হামলা করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। এছাড়াও কয়েকজন পুলিশ আহত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় কামরুল হাসান মুন্নার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এতে অভিযোগ করা হয় মুন্না ধারালো ছুরি দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। এ মামলায় কামরুল হাসান মুন্না, রকিবুল হাসান লিয়ন, হুমায়ন কবির ও শ্যামল শীলকে আসামী করা হয়। তাদের সাত দিনের রিমা- আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অপর একটি মামলায় কাউন্সিলর কবির হোসেন, বিপু, কালা ফারুখ, আমিন, ওবায়দুল্লাহ, সাহবুদ্দিন, সুজন মিয়া সহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমা- চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কবিরের বিরুদ্ধেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে অভিযোগ করা হয় মামলায়।নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম ২২জনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন