অমর একুশে গ্রন্থমেলা’২০১৯ এ পরিবার পাবলিকেশনস হতে তরুণ লেখিকা নীলা হারুনের নতুন বই “অলীকালোকে” প্রকাশিত হয়েছে।
বইটির পান্ডলিপি লেখা নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লেখিকা জানান, বইটি দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় লেখা হয়েছিলো। লেখিকা আরো বলেন, ”অলীকালোকে লেখার প্রায় বছর সাতেক পর এক সকালে কি মনে করে যেন উপন্যাস সংবলিত একটি ছবি এঁকে ফেললাম,যেটি বইয়ের অলংকরণে পরে ব্যবহৃত হয়েছে।প্রকাশক আমার আঁকা সেই ছবি দেখে কৌতূহলী হয়ে গল্পটি পড়তে চাইলেন এবং জানালেন যে-গল্পের চরিত্রগুলো তাকে এতই আছন্ন করে ফেলেছে যে তিনি এটি বই হিসেবে প্রকাশ করতে চান।”
যেহেতু এই বইয়ের সকল চরিত্র ও ঘটনাই কাল্পনিক;অলীক লোকালয়ের কথা তাই বইটির নাম রাখা হয়েছে অলীকালোকে।
বইটির সম্পর্কে লেখিকা বলেন, “আমার কাছে সাহিত্য আর সাধারণ কথার মাঝে পার্থক্য হল এই যে সাহিত্যে রূপক অথবা ভাবপ্রকাশের মাধ্যমে অল্প কথায় অনেক কিছু বোঝানো যায়।শব্দের গভীরতা নিয়ে খেলা করাই সাহিত্যের কাজ।অতিদীর্ঘ কোন কিছুই আমি কখনো লিখতে পারিনা,অল্প কথায়ই আমার যা বলার বলা হয়ে যায় যে কোন গল্প অথবা কবিতায়। এই বইয়েও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সামান্য ক'টি শব্দে অনেক কিছু ইশারা করতে ভাল লাগে আমার। আমাদের প্রাত্যহিক চারপাশের সাধারণ জীবনগুলোর মাঝেও যে আকাঙ্খা,অভিমান,আশার কথা লুকিয়ে থাকে,যে নাটকীয়তা অভিনীত হয় পৃথিবীর এই সংক্ষিপ্ত সময়ে -তার কথা আছে এই বইয়ে । পড়তে পড়তে যদি জর্দ্দার অপূর্ণতা অথবা মীরুর অপেক্ষায় পাঠক একটিবারও দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, তবেই লেখা সার্থক বলে আনন্দিত হব, স্বস্তি পাব। “
ইতিমধ্যে লেখিকার একটি গল্প নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, যেটি বিভিন্ন দেশের ফেস্টিভ্যালে বেশ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্ট্যিভ্যাল,দুবাইয়ের এমরেটস শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কিংবা নাইজেরিয়ার মত দূরের আফ্রিকান দেশে সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন