সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনার ৬টি নদী পানি সংকট আর দখল-দূষণে শ্বাস নিতে পারছে না

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী ,এসএম রাজা ও আফতাব হোসেন | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:১২ পিএম

পাবনায় পদ্মাসহ ৬টি নদী ভারতের ফারাক্কার করাল থাবায় আর অন্যদিকে নদী খেকোদের দখল আর দূষণে নদীগুলো শ্বাস নিতে পারছে না, দমবন্ধ হওয়ার পথে। প্রশাসনের ভূমি অফিসের এক শ্রেণীর অসাধু লোকজনের যোগসাজশে সরকারে নদীর খাস জায়গা দখল হয়ে গেছে। অনেকে কাগজ-পত্র তৈরি করে নিয়েছেন। জেলার ইছামতি, বড়াল, চিকনাই , আত্রাই হুরাসাগর, মরা পদ্মা এবং বৃহত্তর চলন বিলের এলাকা দখলে চলে গেছে। দখলবাজদের উৎকোচের বিনিময়ে সহযোগিতা দিচ্ছে ভূমি অফিস, কানানগু (জমি মাপার সরকারী আমিন) আর রেজিষ্ট্রি অফিস। খাস খতিয়ান থেকে সরকারী জমি কর্তন করে ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রেজিষ্ট্রি হতে আর কোন বাধা থাকছে না। সংঘবদ্ধ এই চক্র দীর্ঘকাল ধরে নদী হজম করে চলেছে। নদী পার থেকে নদীর মধ্যস্থল পর্যন্ত দখলে চলে গেছে। অপর দিকে আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দূষণে জন জীবন রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। যাওয়া নদী শুধু দখলে গেছে তাই নয়, নদীর তলদেশে আবাদ হচ্ছে ফসল। এক সময় বছরের অধিকাংশ সময় প্রমত্তা বড়ালে পানি থাকলেও এখন শুকিয়ে গেছে। বড়ালসহ ৬টি নদীতে পানির সংকট হওয়ায় সেচ কার্য ব্যহত হয়ে পড়েছে। চাটমোহর পৌরসভাসহ নদীপাড়ের হাট-বাজার জনপদের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। নদীটি এখন আবর্জনার ভাগাড় আর ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত স্লুইস গেট ও দখলের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সময়ের বিবর্তনে এক সময়ের প্রবাহমান নদী এখন মৃত প্রায়। আর দখলে বন্ধ হচ্ছে প্রাণ। তবে নদী ড্রেজিং কার্যক্রমের ডেল্টা প্রজেক্ট সরকার হাতে নিতে যাচ্ছেন। এই খবরে দখলবাজদের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু হয়েছে। পাবনার ইছমতি নদী নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে কয়েকটি মামলা করেছেন, নদী পাড়ের বসতিরা। সাধারণ মানুষজন বলছেন, নদী খনন করে প্রবাহমান না করলে দেশের পানি সংকট কাটবে না।যদি মালিকানা স্বত্ব থাকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেবেন সরকার। আর অবৈধ দখলবাজদের উচ্ছেদ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন