শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিক্রি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ১৪ বই

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

নুর হোসেন ইমন | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রবেশ করছে শেষ দশকে। মেলায় পড়েছে বিক্রির ধুম। প্রতিদিনই আসছে পরিচিত অপরিচিত লেখকদের নতুন নতুন বই। এসব বইয়ের সাথে তাল মিলিয়ে মেলায় বিক্রি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ১৪টি বই। মেলা ঘুরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী রচিত ১৪টি বইয়ের মধ্যে কয়েকটি বই তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। মেলার সোহরাওয়ার্দি অংশের আগামী প্রকাশনীতে পাওয়া যাচ্ছে এসব বই। প্রকাশনাটির পক্ষ থেকে ঘোষিত এ বছরের বেস্ট সেলার বই এর মধ্যে ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ২০১৫ সালে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর লেখা বই শেখ মুজিব আমার পিতা। আগামী প্রকাশনী থেকে এ বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘মাই ফাদার, মাই বাংলাদেশ’ আসার কথা রয়েছে। প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আবুল হাসনাত এ বিষয়ে বলেন, এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বইগুলোর মধ্যে শেখ মুজিব আমার পিতা বইটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচিত প্রবন্ধ, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশ স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা বইগুলো পাঠক টানতে সক্ষম হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই ‘মাই ফাদার, মাই বাংলাদেশ’ নামের আরেকটি বই আসার কথা রয়েছে। আশাকরি সেটিও ভালো বিক্রি হবে।
বই মেলায় বিক্রি হওয়া শেখ হাসিনা রচিত অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে, নির্বাচিত প্রবন্ধ, ওরা টোকাই কেন, সাদা কালো, দারিদ্র দূরীকরণ: কিছু চিন্তা ভাবনা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা, সহে না মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, পিপল এন্ড ডেমোক্রেসি, ডেমোক্রেসি ইন ডিসট্রেস ডিমান্ডেড হিউমেনিটি, ডেমোক্রেসি পোবার্টি এলিমিনেশান পিস, লিভিং ইন টিয়ারস।
গতকাল বুধবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০তম দিনে মেলা চলে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন মেলায় নতুন বই আসে ১৩৮টি। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সওগাত পত্রিকার শতবর্ষ : ফিরে দেখা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ইসরাইল খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. হাবিব আর রহমান এবং ড. আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক বলেন, সওগাত বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছে। ‘সওগাত’ তাই কালের দাবি পূরণকারী ইতিহাসের গতি-নিয়ন্ত্রক একটি সাহিত্য-পত্রিকা। আলোচকবৃন্দ বলেন, সওগাত পত্রিকা বাঙালি মুসলিম সমাজে প্রগতিশীলতার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এ পত্রিকা নারীস্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উদার আবহ সৃষ্টিতে এই পত্রিকার ভূমিকা ঐতিহাসিক গুরুত্বের দাবি রাখে। তারা বলেন, সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এই পত্রিকার মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামসহ বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক প্রতিভা বিকাশ, পরিচর্যা ও লালনে যে ভূমিকা রাখেন তা এক কথায় অবিস্মরণীয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সওগাত পত্রিকার সামাজিক সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা ঐতিহাসিক। সওগাত পত্রিকার শতবর্ষ তাই আমাদের সাংস্কৃতিক পরিসরে বিশেষ তাৎপর্যের দাবি রাখে। বাংলা একাডেমি এ উপলক্ষটিকে স্মরণ করে যেমন জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে তেমনি আমরা মনে করি আরও বৃহৎ পরিসরে সওগাত পত্রিকা বিষয়ে গভীর গবেষণা প্রয়োজন। গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন কবি মাসুদুজ্জামান, কবি মুজতবা আহমেদ মোরশেদ, কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা, প্রাবন্ধিক শীলা মোস্তফা এবং কবি প্রত্যয় জসিম। কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আসাদ চৌধুরী, নাসির আহমেদ, মারুফুল ইসলাম এবং ওবায়েদ আকাশ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ এবং অলোক বসু।
অমর একুশের কর্মসূচি :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ অমর একুশে ফেব্রæয়ারি উপলক্ষে মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অমর একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার কথা জানানো হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় একুশে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে রয়েছে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। এতে সভাপতিত্ব করবেন কবি অসীম সাহা। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা। একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন ভাষাসংগ্রামী জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন