তৃতীয় দিনে এসে লেখক, প্রকাশক, বিক্রয়কর্মী ও পাঠকের আনাগোনায় কিছুটা জমে উঠেছে বইমেলা। দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে অনেকটা। তবে কিছু কিছু স্টলে এখনও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক পর্যায়ে না গেলে দিন বাড়ার সাথে সাথে চিরচেনা রূপ বাঙালী সংস্কৃতি পিপাসু ও বই প্রেমিদের মিলনমেলায় পরিণত হবে বইমেলা। গতকাল শনিবার সাপ্তহিক ছুটির দিন থাকায় পাঠকদের আগমনে মেলা জমে উঠলেও বেচাবিক্রি এখনও গতি পায়নি।
সরজমিনে বইমেলা পদক্ষিণ করে দেখা যায়, শুরুর দিকে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে সমালোচনা হলেও এদিন কড়া তদারকির মাধ্যমে মাস্ক পরিধান করে আর্চওয়ে হয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। সেখানে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা, হাত স্যানিটাইজ করতে হচ্ছে। তবে ভেতরে প্রবেশ করার পর স্বাস্থ্যবিধির বালাই ভেঙ্গে ফেলছেন অনেকে। বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, পুরোদশে শুরু হয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি সবগুলো স্টল ও প্যাভিলিয়নের নির্মাণ। অসমাপ্ত রয়ে গেছে শৌচাগার ও নামাজের স্থানের নির্মাণ কাজও। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে হাতুড়ি পেটার আওয়াজ। পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু করতে তোড়জোড় করে রং করা হচ্ছে অনেক স্টলে, কোথাও লাগানো হচ্ছে স্টলের ছাদ বা নামফলক।
প্রকাশকরা বলছেন, অন্যবারের তলনায় এবার বাংলা একাডেমি থেকে স্টল বরাদ্দ পেতে বেশি সময় লেগেছে। তাই স্টল সাজানো শেষ করতে সময় পাওয়া গেছে কম। সন্ধ্যার পর থেকে মেলায় জনসমাগম বাড়লেও সকালের দিকে থাকে অনেকটা জনশূণ্য। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, সময় মতন কাজ শেষ করার জন্য দ্রুত গতিতেই কাজ করা হচ্ছে। আশা করি, খুব শিগগিরই সবকিছুই ঠিক করা হবে যাবে।
মেলার সময় গড়ানোর সাথে সাথে আসতে শুরু করেছে নতুন বই। ধুম শুরু হয়েছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের। মেলায় ঘুরতে আসা আফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও তেমন নতুন বই দেখছি না। যেসব নতুন বই এসেছে সেগুলোরও তেমন পাঠক রিভিউ পাচ্ছি না। তাই একটু সময় নিয়ে বই কেনার চিন্তা করছি। বাবা মায়ের সাথে বই মেলায় ঘুরতে আসা ইকরা মনি বলেন, প্রতিবছর মেলায় ঘুরতে আসলে সিসিমপুরের বন্ধুদের সাথে খেলতে পারতাম। এ বছর তারা না থাকায় খুব মিস করছি। কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা বিবেচনায় শুরুর দিকে শিশুপ্রহর রাখা হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিশুপ্রহর রাখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন