শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সফরে মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রকৃতি কন্যাখ্যাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। এই অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের চার বছরের স্নাতক শিক্ষা জীবনে বইয়ের জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান আহরণের জন্য সুযোগ পায় অনেক আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় জায়গায় শিক্ষা সফরের। সবসময় ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপে শিক্ষা সফরগুলো সত্যিই মনে আনে বসন্তের পরশ। সম্প্রতি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের লেভেল-৩ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থীরা ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে ইনল্যান্ড ফিশারিজ ম্যানেজম্যান্ট কোর্সের অংশ হিসেবে গিয়েছিলাম পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়াতে। ডিপার্টমেন্টের অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদল হক স্যারের নেতৃত্বে মোট ৫ জন শিক্ষক ও ১১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী গিয়েছিলাম তিনদিনের এই শিক্ষা সফরে।  
শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য যথাসময়ে সকলে উপস্থিত হই বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাডে। পরে সকাল ৮টায় ৩টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করি বগুড়ার উদ্দেশ্য।
আরডিএ যেন বাংলাদেশের ভেতর এক অন্য বাংলাদেশ। তাদের নিয়মশৃঙ্খলা, আবাসন ব্যবস্থা, খাবার ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছুতেই যেন যতœ ও পরিশীলতার ছোঁয়া। কি নেই সেখানে?
দুপুরের খাবার গ্রহণের পর শুরু হয় ওপেনিং সেশন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থী আমরা সবাই আরডিআইয়ের পরিচালক পরাগ ভাইয়ের নেতৃত্বে  সেখানকার হ্যাচারী ও বিভিন্ন ফার্ম পরিদর্শন করে। রাতে চমৎকার ও সুবিশাল অডিটোরিয়ামে আমাদের পরিবেশনায়  অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘মাৎস্য সন্ধ্যা’। নাদিয়া ও পাপ্পুর উপস্থাপনায় নাচ, গান, অভিনয়, ফ্যাশনশো দিয়ে সবাইকে মাত করে অনিক, রাব্বি, অর্জন, অনন্যা, আঁখি, মুন, সৌরভ, ইভাসহ আরো অনেকে। আমাদের পরিবেশনার মুগ্ধ হয় সকল দর্শক।
পরদিন যাই যমুনার চরে। সেখানে নৌকায় চড়ে যমুনার অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করি সবাই। সাথে সেলফি তোলা, গানের আসরসহ আরো কত কি তো আছেই। যমুনার চরে মৎস্যজীবীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় তাদের জীবনযাত্রার সম্পর্কে কথা বলা হয়। এরপর দুপুরের খাবার শেষে সবাই যায় ঐতিহ্যবাহী মহাস্থানগড়। আদি সভ্যতার এই নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হই সবাই। রাতে শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে চলে প্রাণোচ্ছল আড্ডা গানের আসর।
পরদিন সকালে নাস্তা শেষেই সবাই পায়ে হেঁটে, ভ্যানযোগে রওয়ানা দেউ বগুড়ার শাহজাহানপুরের সোনাইডাঙা বিলে। সেখানে মৎস্য চাষীদের মাছ চাষ পদ্ধতি, কমিউনিটি বেসড ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন প্রকৃতির মাঝে স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই তিনটি দিন। একগাদা সুখময় স্মৃতি, শিক্ষকদের সাথে কাটানো প্রতিটি সময় আরোহিত ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে বিকাল ৫টাই রওয়ানা দেই চিরচেনা সবুজ ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য।

ষ মো. শাহীন সরদার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন