স্টাফ রিপোর্টার : রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবন ও সাহিত্যে প্রেরণার উৎস। তাঁর গান আমাদের জাতীয় সংগীত। তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন একাধারে ছোটগল্পকার, উপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সংগীতজ্ঞ, চিত্রকর, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। জীবনের শেষপাদে এসে কবিতার কাটাকুটি করতে গিয়ে আঁকা শুরু করলেন চিত্রকলা। ১৯২৪ থেকে ১৯৪১ সালে মৃত্যু অবধি কমপক্ষে ২৩০০ ছবি এঁকে তিনি এক বিস্ময়কর শিল্প প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কিন্তু “চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ” এই পরিচয়টি এখানে খুব পরিচিত হয়ে ওঠেনি। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এই বিশ্বকবির ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁরই আঁকা চিত্রকর্ম ১২০টি কর্ম, তাঁর ব্যবহৃত স্মৃতি-নিদর্শন, তাঁর হাতের লেখা চিঠি নিয়ে পক্ষকালব্যাপী একটি বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হলো ১৪ মে শনিবার বিকালে। জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে এই বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম. আজিজুর রহমান ও জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের আপন মানুষ। তাঁর সমস্ত সৃষ্টিই আমাদের জীবনে প্রেরণার উৎস। কবিতা গান তো আছেই, পাশাপাশি আজ আমরা যে তাঁর ছবির এই প্রদর্শনীকে অলংকৃত করেছে, সেই প্রত্যেকটি ছবির দিকে তাকালে আমাদের মনে হয়, তিনি সৃষ্টির জগতে অনন্য।
বিশেষ অতিথির ভাষণে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমরা ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথের মূল ছবি সংগ্রহে করার উদ্যোগ নিবো, কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথকে বেশি বেশি পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন