শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সাদামাটাভাবেই গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন পালিত

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

বিবিসি বাংলা তৈরিকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে দেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চিত্রপরিচালক, প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা তিনটি গান। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই গুণী মানুষটি ৭৬ বছরে পা দেন। অনেকটা সাদামাটাভাবেই তার জন্মদিনটি পালিত হয়। এ নিয়ে তার তেমন কোনো উচ্ছাসও নেই। কাছের লোকজনদের দ্বারা জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। তার লেখা গানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এ পর্যন্ত তিনি বিশ হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তার গানে বরাবরই দেশপ্রেমের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কালজয়ী অসংখ্য গান রচনা করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের দলীয় সঙ্গীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি তার লেখা। এছাড়া দেশাত্মবোধক গান একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হল-এর মতো অসংখ্য দেশপ্রেমের গানের রচয়িতা তিনি। চলচ্চিত্রে তার লেখা অনেক গান এখনও দর্শক-শ্রোতাদের মনে দোলা দিয়ে যায়। কালজয়ী হয়ে আছে এসব গান। গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম- এর মতো অসাধারণ সব গানের স্রষ্টা তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২-৬৩ সলে মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনাকালীন লিখেছিলেন প্রথম গান। গানের কথা, ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। গানটির সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু ও শিল্পী ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে তার পেশাদার গীতিকার জীবনের শুরু। ১৯৬৫ সালে যুক্ত হন চলচ্চিত্রের সাথে। সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমায় ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন সফল কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকও। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে শাস্তি, স্বাধীন, শর্ত, সমর, শ্রদ্ধা, ক্ষুধা, স্নেহ, তপস্যা, উল্কা, আম্মা, পরাধীন, আর্তনাদ, পাষাণের প্রেম, এই যে দুনিয়া নামে সিনেমা প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। গীতিকার হিসেবে ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mahmud Selim ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ২:০৭ পিএম says : 0
“জন্ম আমার ধন্য হলো”- গানটি নয়ীম গহর-এর লেখা। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Mahmud Selim ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ২:০৯ পিএম says : 0
জন্ম আমার ধন্য হলো গানটি নয়ীম গহর এর লেখা। ধণ্যবাদ।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন