ভুট্টা পৃথিবীতে অনেক জনপ্রিয় একটি শস্য। রাস্তাঘাটে বের হলেই চোখে পড়ে ঠেলাগাড়িতে পোড়ানো ভুট্টার বেচাকেনা। কেবল খেতেই ভাল নয়, ভুট্টার রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। প্রতি ১০০ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১.৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে।আসুন জেনে নেয়া যাক ভুট্টার গুনাগুন।
রক্ত চাপ কমায়
ভুট্টায় রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ
ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ইন্সুলিনের শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়।
অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায়
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ বা আয়রন যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে।
দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়
একটা ভুট্টা শরীরে এক টন বিটা ক্যরোটিন সরবারহ করে যা চোখের জন্য খুবই ভাল।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
ভুট্টা ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েড ও বায়োফ্লাভোনয়েডস এ সমৃদ্ধ যা রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ নিউট্রিশনাল বায়োক্যামিস্ট্রির মতে, ভুট্টার তুষের তেল গ্রহণ করলে প্লাজমার এলডিএল কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমানোর মাধ্যমে।
গর্ভাবস্থার জন্য অত্যাবশ্যকীয়
ফলিক এসিডের চমৎকার উৎস বেবিকর্ণ এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় খুবই সাধারণ একটি অভিযোগ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্যতালিকায় বেবিকর্ণ যুক্ত করাটা জরুরী।
ত্বকের যত্নে
ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে দীর্ঘদিন যাবত সতেজ থাকতে সাহায্য করে। ভুট্টা খাওয়ার পাশাপাশি ভুট্টার তেল ব্যবহার ও উপকারি কারণ এতে লিনোলেইক এসিড থাকে। ভুট্টার মাড় ত্বকের চুলকানি ও র্যাশ প্রশমিত হতে সাহায্য করে।
তবে মাথায় রাখুন ভুট্টার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও কিন্তু রয়েছে। যেমন--‘ইনজেস্টিবল প্রোটিন’ থাকায় ভুট্টা থেকে অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে। বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা ভুট্টা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত ভুট্টা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন