শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

ফেনী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। এই নির্বাচনে ফল না এলেও সরকারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না।
গতকাল দুপুরে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। বিডিআর বিদ্রোহ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের দিন সকাল বেলা থেকে ২৪ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার অবস্থান কেউ জানত না। খালেদা জিয়াকে মির্জা ফখরুল কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। ফখরুল যে রহস্য উন্মোচন করতে চাচ্ছেন, এর সঙ্গে এ হত্যাকান্ডের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। মির্জা ফখরুল কেঁচো খুঁড়তে চাইলে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসবে।
৫ম উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনো কেন্দ্রীয় মনোনয়নের ঘোষণা চূড়ান্ত হয়নি। ৩টি সার্ভে রিপোর্টের সঙ্গে তৃণমূলের পাঠানো তালিকা দেখে দলের ১৯ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড শুধু চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ঘোষণা করবেন। কাদের জানান, বিএনপির উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ না মেনে তৃণমূলের নেতারা নমিনেশন জমা দিচ্ছে। প্রথম ধাপে ৭ জন এবং ২য় ধাপে ৩৭ জন মনোনয়ন নিয়েছে বলে তথ্য এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চাইলেই অবসর নিতে পারেন না বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অবসর নেওয়াটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার সঙ্গে তাকে সঙ্গতি রাখতে হবে। আমরা তাকে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে দেব না। তিনি বলেন, বিগত ৪৩ বছরে সততা, যোগ্যতা ও দক্ষতায় কেউ শেখ হাসিনাকে অতিক্রম করতে পারেননি। তিনি নিজেকেই নিজে অতিক্রম করেছেন। ইচ্ছে করলেই তিনি রাজনীতি ছেড়ে চলে যেতে পারেন না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খালেদা জিয়া যতটা না অসুস্থ, তার চাইতে তার অসুস্থতা নিয়ে বেশি রাজনীতি করা হচ্ছে। এ বিষয়টাকে তারা রাজনৈতিক কালার দিতে চাইছে। নীতি নির্ধারণে দুর্বলতা ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি ক্রমাগত জন সমর্থন হারাচ্ছে। তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ, আন্দোলনেও ব্যর্থ।
তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, আইসিটি আইনের বিধি-প্রবিধি মার্জিত করা যায়। তবে বিগত সময়ে এর অপপ্রয়োগ লক্ষ করিনি। এর মাধ্যমে কেউ হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হবে না। এর উদ্দেশ্য দুষ্টের দমন, সৃষ্টের লালন, সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে অবস্থান। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার (পিপিএম), ফেনী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন