গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়ন ছাড়া জমে উঠতে শুরু করেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আওয়ামীলীগ অধ্যাষিত কোটালীপাড়া উপজেলায় এ নির্বাচনে দল থেকে কেউকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দেওয়া হয় নাই। ফলে স্থানীয় নেতারা বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এ সকল প্রার্থীরা এখন কোমর বেধে নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। নিজেদের স্ব-পক্ষে ভোট নিতে বিভিন্ন গ্রাম পাড়া মহল্লায় ছোট ছোট উঠান বৈঠক ও সমাবেশ করছেন। যে যার মত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। নিজেদের সমর্থকদের সাথে নিয়ে মানুষের বাড়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন দিচ্ছেন না উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে ৩ পদে এবার ভোট লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন ৯জন প্রার্থী, এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা কমল চন্দ্র সেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী মোঃ আমিনুজ্জামান খান মিলন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ খালেক হাওলাদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগম, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মি রানী সরকার ও প্রভাষক গুলশান আরা রানী। প্রতীক পাওয়ার পর পর ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলনের মোটর সাইকেলে ব্যাপক শো-ডাউন লক্ষ করা গেছে। প্রার্থীরা ইতিমধ্যে তাদের প্রতীক ও ছবি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার টাঙ্গিয়েছেন। ভোটাররাও তাদের হিসাব নিকাশ করে ধীরে ধীরে আগাচ্ছেন। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ। এ উপজেলায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮শত ৯৩জন ভোটার রয়েছেন। তবে এবারের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীই প্রতিপক্ষের ভোট ব্যাংকে হানা দিয়ে ভোট আদায়ে কর্মকৌশল নিয়ে এগুচ্ছেন। সব কিছুই নির্ভর করবে ভোটারদের উপর তবে ভোটারদের সিদ্ধান্ত জানতে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন