শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবন ১৪৩১, ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়- চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকা চেম্বার সভাপতি-চীনের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ৭:৩০ পিএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো বলেছেন, সমুদ্র অর্থনীতি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। এ খাতের যথাযথ বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। তিনি জানান, সম্প্রতি চীন সরকার চীনে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের চীনে বিনিয়োগের জন্য তিনি আহ্বান জানান।

শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি ওসামা তাসীর-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

জ্যাং জো বলেন, অত্র অঞ্চলে উচ্চমান সম্মত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে চীন সরকার গৃহীত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন ও বিনিয়োগে চীন বৃহত্তম অংশীদার। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নিকট ভবিষ্যতে এখাতের নতুন প্রকল্পসমূহে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জ্যাং জো জানান, চীনের ২০০টি বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রায় ২০০টির মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি চীনা উদ্যোক্তাও এদেশে বিনিয়োগ করেছে। তিনি চীন ও বাংলাদেশর ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সহযোগিতা বাড়ানো, সম্ভাবনাময় খাতে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা এবং দু’দেশের বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর চীনের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে ইতোমধ্যে চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্প সমূহে বিনিয়োগ করেছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ওসামা তাসীর তথ্য-প্রযুক্তি খাতে চীন সারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও ৪র্থ শিল্প বিল্পবের সুবিধা গ্রহণের জন্য বাংলাদশে তথ্য-প্রযুুক্তি খাতে আরো বেশি হারে বিনিয়োগের জন্য চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

ওসামা তাসীর জানান, বাংলাদেশ প্রতিবছর চীনে মৎস ও হিমায়িত মৎস, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, শাক-সবজি, টেক্সটাইল ফাইবার্স, পেপার ইয়ার্ন, ওভেন ফেব্রিক্স, ইলেকট্রিকাল মেশিনারিজ এবং আসবাবপত্র প্রভৃতি পণ্য রফতানি করে থাকে। চীন ও আশিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ লুক ইষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করেছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, নূহের লতিফ খান, শামস মাহমুদ, এস এম জিল্লুর রহমান এবং চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এলভি ইয়াং উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন