শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

হামলা চালালে কফিন নিয়ে ফিরতে হবে : এরদোগান

ইস্তাম্বুলকে কখনো কনস্টান্টিনোপলে পরিণত করতে পারবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিউজিল্যান্ডকে সতর্ক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের গ্যালিপোলিসে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল জোটবাহিনী। তিনি সে প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন সামনে। মসজিদে হামলার বিষয়ে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়ে বললেন, যারাই মুসলিম বিরোধিতায় তুরস্কে প্রবেশ করবে তাকেই কফিনে করে ফেরত যেতে হবে, যেমনটা তাদের পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। হুরিয়েত নিউজ সাইটকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডসহ তাদের মিত্ররা গালিপোলিস উপদ্বীপে আগ্রাসন চালিয়েছিল। এরদোগান বলেন, তুরস্কের ওপর সম্ভাব্য হামলার অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা হয়েছে। তবে কেউ যদি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে হামলার চেষ্টা করে তাহলে হামলাকারীদের কফিন ফেরত পাঠানো হবে। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার বিষয়ে এরদোগান দেশটির সরকারের প্রতি সিরিজ তদন্তের আহŸান জানান। সমাবেশে এরদোগান বলেন, “আমরা এখানে হাজার বছর ধরে আছি এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকব ইনশাল্লাহ। তোমরা ইস্তাম্বুলকে কনস্টান্টিনোপলে পরিণত করতে পারবে না। তোমাদের দাদারাও এসেছিল এবং লাশ হয়ে ফেরত গেছে। কোনো সন্দেহে নেই তোমাদেরকেও আমরা লাশ বানিয়ে ফেরত পাঠাব।” গত শুক্রবারের হত্যাকাÐ সম্পর্কে এরদোগান নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, “আমরা আশা করি নিউজিল্যান্ড সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নেবে। তারা যেন পশ্চিমা দেশগুলোর মতো হাল্কাভাবে না নেয়।” গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে এরদোগান বলেন, নিউজিল্যান্ডের ঘাতক ২০১৬ সালে দুইবার তুরস্ক সফর করেছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, মুসলিমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের হামলা চালাতে পারবে না। কিন্তু যদি মুসলিমরা সংগঠিত না হয়, তারা এমন হামলা চালাতে পারবে। কাজেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা একে অন্যের দেখাশোনা করবো। এই ভাষণের সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কামাল কিলিচডারুগলোর সমালোচনা করেন। বিবিসির মার্ক লোয়েন বলছেন, তুরস্কের গণমাধ্যম, যারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারপন্থী, তারা এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট এরদোগানকেই সমর্থন করছে। তারা দেখাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসলামোফোবিয়ার জোয়ার থেকে মুসলিমদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। তুরস্কের একটি পত্রিকার শিরোনাম এরকম: ‘আমরা নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন যারা, তাদের পাশে আছি, পশ্চিমা দুনিয়া নীরব।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমা নামাজের সময় ব্রেনটন টেরেন্ট নামে এক উগ্র খ্রিস্টান সন্ত্রাসী ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে। এর আগে ওই সন্ত্রাসী একটি মেনিফেস্টো পাঠায় যাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকে খ্রিস্টানদের সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে তা তুরস্কের হাত থেকে উদ্ধারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ‘যুদ্ধবাজ’ নেতা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে এতে। তুরস্ককে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে পুরনো শত্রæ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই মেনিফেস্টোতে। এতে ইস্তাম্বুলকে লক্ষ্য করে বলা হয়- “আমরা কনস্টান্টিনোপলে আসছি এবং শহরের প্রতিটি মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করব। হাজি সোফিয়াকে মিনার থেকে মুক্ত করা হবে এবং কনস্টান্টিনোপল আবারো খ্রিস্টানদের দখলে আসবে।” ১৯১৫ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কানাক্কালে প্রদেশে অটোমান সেনাদের হাতে ব্রিটিশ সেনাদের পরাজয়ের বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে সোমবার বক্তব্য দেন এরদোগান। ১৯১৫ সালের ওই যুদ্ধে ব্রিটেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সেনারাও অংশ নেয়। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Siddik Ali ২০ মার্চ, ২০১৯, ৩:২৯ এএম says : 0
আপনাকে আল্লাহ যেন নেক হায়াত দান করেন ।আমিন ,বিশ্বের একমাত্র মুসলিম নেতাই আপনি । আপনাকে জানাই হাজার সালাম।
Total Reply(0)
Muhammed Shakil Hossain ২০ মার্চ, ২০১৯, ৩:২৯ এএম says : 0
৫৭ টি মুসলিম রাষ্ট্রে যদি এরদোগানের মত নেতা থাকতো তাহলে ইসলাম নিয়ে কোন ছিনিমিনি খেলতে পারত না
Total Reply(0)
Kazi Delwar Hossain ২০ মার্চ, ২০১৯, ৩:৩০ এএম says : 0
এরদোয়ানের মতো নেতা পাওয়া বাগগের বেপার বিশ্ব মুসলমানের কথা বলে এরদোয়ান আমি তোমাকে হাজারো সালাম জানাই আল্লাহ তোমাকে নেক হায়াত দান করুন
Total Reply(0)
Hanif Ahmed ২০ মার্চ, ২০১৯, ৩:৩০ এএম says : 0
বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে যদি কোনও সাহসী মুসলিম নেতা থাকে সে হল এরদোগান তোমাকে জানাই হাজার স্যালোট
Total Reply(0)
MD Mizan Khan ২০ মার্চ, ২০১৯, ১০:১৭ এএম says : 0
ফায়ার করার সময় সে কিন্তু কে সালাফি কে সুন্নী, কে মাজহাবী আর কে লা মাজহাবী, কে বুকের উপর হাত বাঁধে আর কে নাভির নিচে বাঁধে এটা খোঁজেনি। সে খুজেছিল যে মুসলমানরা কোথায়? তার মিশন ছিল মুসলিম কিলিং। ওদের সবার টার্গেটই এক। আর সেটা হল মুসলিম নিধন, মুসলিম হটাও, ইসলামকে ধংস করা। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো ওরা সবাই মিলে আমাদের বিরুদ্ধে এক হলেও আমরা নিজেরা নিজেরাই এক থাকতে পরিনা।পারিনা ঐক্যবদ্ধ হতে। আসুন অমিলের ব্যপারগুলো এড়িয়ে পারস্পরিক মিলের জায়গাগুলো খুঁজে এক টেবিলে বসি, আন্তরিকতা ও হৃদ্যতার সাথে আলাপ করি আর পারস্পরিক শ্রদ্বাবোধের চর্চা করি। মনে রাখতে হবে যে, ঐক্য মানে সবাইকে সব বিষয়ের উপর একমত হতে হবে এমনটা নয়। ঐক্য মানে যে কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে আমাদের চিন্তা অভিন্ন সে কয়েকটি বিষয়কে ঘিরে পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত রাখা ও ভ্রাত্বিত্বের বন্ধন কে অটুট রাখা। বৈচিত্রের মাঝেই আমাদেরকে ঐক্য প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।
Total Reply(0)
Rafsan Ahmed Siyam ২০ মার্চ, ২০১৯, ১০:১৭ এএম says : 0
Very Good Decision
Total Reply(0)
Bashir Bashir ২০ মার্চ, ২০১৯, ১০:১৭ এএম says : 0
হয় মরবো না'হয় বাঁচবো একেই বলে নেতা
Total Reply(0)
Md. Yasin Arafat ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম says : 0
ইসলামের শত্রুরা এখনও সময় আছে সাবধান হও, সাবাস মহামান্য রাষ্ট্রপতি (এরদোগান), আপনি এগিয়ে যান আল্লাহর রহমত সবসময় আপনার সাথে থাকবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন