তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান বলেছেন, মসজিদের ভেতর যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না, শহীদদের রক্তের মূল্য আমরা নেবই। ভয়াবহ এ হত্যাকান্ডের নৃশংসতা ভোলা যাবে না উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ৫০ জন মুসল্লিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা এটা কখনো ভুলতে পারব না। আমরা এর শেষ দেখেই ছাড়ব। নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর স্মরণকালের ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলার বিচার যদি নিউজিল্যান্ড সরকার সঠিকভাবে করতে না পারে, তাহলে তুরস্ক এর বিচার করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেনএরদোগান। মঙ্গলবার তুরস্কের জঙ্গুলাডাক জেলায় এক নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ এ হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় জানিয়ে এরদোগান বলেন, এটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হামলা। হামলাকারী দু’বার তুরস্ক এসে ৪৬ দিন অবস্থান করেছিল। তার আক্রমণের শিকার মুসলমানরা হলেও মূল টার্গেট তুরস্ক এবং ইউরোপে বসবাসকারী তুর্কি জনগোষ্ঠী। শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের গুলিতে তুরস্ক ও উসমানি খিলাফতের বিরুদ্ধে তাদের ভয়ানক ষড়যন্ত্রের কথা লেখা ছিল জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তার অস্ত্র ও হামলার আগে পাঠানো মেনিফেস্টোতেই বোঝা যায়, ষড়যন্ত্র কত গভীর। যদি তুর্কিবিরোধীরা তাদের যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে,সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে আমরাও হাতে চুরি পরে বসে থাকব না। তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা দেব, যা তাদের আজীবন মনে থাকবে। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার আগে ওই সন্ত্রাসী একটি মেনিফেস্টো পাঠায় যাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকে খ্রিস্টানদের সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে তা তুরস্কের হাত থেকে উদ্ধারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে ‘যুদ্ধবাজ’ নেতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ওই মেনিফেস্টোতে। তুরস্ককে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে পুরনো শত্রু বলেও উল্লেখ করে এতে ইস্তাম্বুলকে লক্ষ্য করে বলা হয়- “আমরা কনস্টান্টিনোপলে আসছি এবং শহরের প্রতিটি মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করব। হাজি সোফিয়াকে মিনার থেকে মুক্ত করা হবে এবং কনস্টান্টিনোপল আবারও খ্রিস্টানদের দখলে আসবে।” আনাদোলু, টিআরটি আরবি, ইয়েনি শাফাক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন