পশ্চিমাদের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবকে নব্য নাৎসিবাদী বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান। শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ সময় ইউরোপীয় নব্য নাৎসিবাদীদের হাতে মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার তালিকা দিয়ে বলেন, ইউরোপের নব্য নাৎসিবাদীরা ২০১৩-২০১৭ পর্যন্ত ১১৩টি হামলা করে, যার মাধ্যমে ৬৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ব স¤প্রদায়কে এখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ঘৃণা মোকাবেলা করতে হবে। হলোকাস্টের মহাবিপর্যয়ের পর যখন ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতা লড়াই করেছে, ঠিক একইভাবে ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়া উচিত। ক্রাইস্টচার্চের নৃশংস এ হামলা বিশ্ব মানবতার জন্য একটি ভয়ানক ইঙ্গিত দিয়েছে উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, মানবতার জন্য এমন হুমকির বিষয়ে ওআইসি নীরব থাকতে পারে না। জুমার নামাজে সমবেত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়টি সাধারণ কোনো হামলা নয় জানিয়ে এরদোগান বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন বা সাধারণ কোনো হামলা নয়। এ হামলার পেছনে রয়েছে ঘৃণা ও আধিপত্যবাদের মানসিকতা। বিগত সময়ে পশ্চিমাদের চড়ানো ঘৃণাচর্চার বহিঃপ্রকাশ এ অমানবিক হামলা। বর্ণবাদের এ সংস্কৃতি শুধু মুসলমানদেরই ক্ষতি করবে না। শেষ সময়ে তা সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখনই সবার একটি সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার, যা মানবতাকে এ ঘৃণাচর্চা থেকে বাঁচাবে। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে খ্রিস্টান শ্বেতাঙ্গবাদীর চালানো স্মরণকালের ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলার প্রেক্ষিতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকে ইস্তাম্বুলে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাপাসুগলোর সভাপতিত্বে প্রায় ২২টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এতে অংশ নেন। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন