সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বিশ্বকাপে খেলা হবে না আমিরের?

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হতাশার নাম? অবশ্যই ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া। দ্বিতীয় বড় হতাশার নাম সে ম্যাচে মোহাম্মদ আমিরকে না পাওয়া। তরুণ ওয়াহাব রিয়াজের পারফরম্যান্স সে ম্যাচে আরেক তরুণ আমিরের অভাব খুব বেশি করে অনুভব করেছিল পাকিস্তান। বিশেষ করে অভিষেকের পর এক বছরে যেভাবে বল করেছেন, তাতে ২০১১ বিশ্বকাপে ভয়ংকর এক অস্ত্র হতেই পারতেন এই বাঁহাতি পেসার।

২০১৫ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পেসবান্ধব কন্ডিশনে মোহাম্মদ আমিরের অভাব টের পেয়েছে পাকিস্তান। দুটি বিশ্বকাপেই আমিরের মতো বড় ম্যাচের খেলোয়াড় থাকলে ভাগ্যটা আরও সুপ্রসন্ন হতে পারত পাকিস্তানের। ২০১৯ বিশ্বকাপেই সে হতাশা কাটানোর টুর্নামেন্ট মনে করা হচ্ছিল, যেখানে দেশটি এ প্রজন্মের সেরা পেসারকে খেলাতে পারবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন এমন যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই জায়গা না পাওয়ার সম্ভাবনা আমিরের।

বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা আছে আমিরের। এ কারণে তাঁকে সব সময় আলাদা চোখে দেখে পাকিস্তানের বোর্ড ও নির্বাচকেরা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেই সেটি দেখিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকেই বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আমির। তবু তাঁকে সুযোগের পর সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। আশা করেছে, ফর্মে ফিরবেন আমির। কিন্তু ২০১৭ সালের সে ফাইনালের পর থেকে ওয়ানডেতে ১০১ ওভার বল করেছেন আমির। ৬০০- এর বেশি বল করে তাঁর উইকেট মাত্র ৫টি। অর্থাৎ ১২১ স্ট্রাইকরেট! দুই ম্যাচে এক উইকেট, যার মূল কাজ উইকেট নেওয়া তাঁর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স কেউই আশা করে না।

কোচ মিকি আর্থার সব সময় আমিরের বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ পড়ার পর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ নিজেই, ‘ওর বড় ম্যাচে ভালো খেলার ক্ষমতা আছে এবং আমরা সামনে ওকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা ভেবে দেখব। আমিরের ফর্ম চিন্তায় ফেলার মতো এবং আমিরের চেয়ে আর কেউই এটি নিয়ে বেশি চিন্তিত নয়। আমি এখনো মনে করি, ও খুব দক্ষ বোলার এবং সফল হওয়ার সব গুণই আছে।’

আর্থার আশা দেখালেও আমিরের পারফরম্যান্স কিন্তু পাকিস্তানের জন্য হতাশাজনক। ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর মাত্র চারবার ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। গত এশিয়া কাপে তিন ম্যাচে মাত্র ১৮ ওভার বল করেছেন। তিন ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচেও উইকেটশূন্য, দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচেও ছিলেন।

আমিরের বদলে সুযোগ পেয়ে ১৮ বছরের মোহাম্মদ হাসনাইন প্রশংসা কুড়িয়েছেন। টেস্ট দলে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে মোহাম্মদ আব্বাসেরও ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বর্তমান সিরিজে। জুনাইদ খান ও শিনওয়ারির এ সিরিজে সুযোগ পাওয়ার কথা। আর বিশ্বকাপ দলে শাহিন আফ্রিদি ও হাসান আলী তো বহু আগেই নিশ্চিত। মোহাম্মদ আমিরের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বোধ হয় ২৬ বছর বয়সেও পূরণ হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন