ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল্লাহ বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর কোনো সরকার কওমী সনদের স্বীকৃতি দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী একজন দ্বীনদার পরহেজগার নারী। তিনি কওমী আক্বিদাভুক্ত তাই কওমী আক্বিদার আলেমদের ভালোবাসেন।
তিনি কওমী শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, ছোটকালে কওমী মাদরাসায় পড়াশোনা করে তিনি দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। কওমী মাদাসায় যারা পড়াশোনা করে তারা প্রচুর জ্ঞান অর্জন করে। যা অন্য কোন সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্ভব হয় না।
বিএনপি-জামায়াত চক্র কওমী সনদ দেয়ার কথা বলে কওমীদের সব সময় ব্যবহার করেছে। তারা কওমী সনদের নামে এ সমাজকে মূলা ঝুলিয়ে রেখেছিল। তিনি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর দশটি কওমী মাদরাসা পরিদর্শনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তার অংশ হিসেবে জিরি মাদরাসায় দাওরায়ে হাদীসের সমাপনী পাঠদান ও খতমে বোখারী শরীফে অংশগ্রহণ করেছেন। খতমে বোখারী শরীফে যারা অংশগ্রহণ করেন তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ দ্রুত কবুল করেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পটিয়া আল জামেয়াতুল আরাবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সমাপনী পাঠদান ও ৯৮তম খতমে বোখারী শরীফ এবং এছলাহী জোড় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, মাদরাসা পরিচালক মাওলানা খোবাইবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মীর গ্রপের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন