বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন: কর্নেল অলি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ২:০৭ পিএম | আপডেট : ২:১১ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০১৯

বোমা ফাটালেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের অধিকাংশ নেতা ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছিল বলে তথ্য দিলেন তিনি। কর্নেল অলি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে যারা আছেন তাদের অনেকে সরকারের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছেন। কোন বাসায় পয়সা নিয়েছেন, কে নিগোসিয়েট করেছেন— এই তথ্যগুলো আমার কাছে আছে।’ তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে।

গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদের ২০ দলীয় জোটের অনেক নেতাও সরকারের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছেন। তা না তাহলে এভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন হতো না।’

পুলিশ-প্রশাসন দেশ চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের এই নেতা বলেন, ‘তারা এমপি-মন্ত্রীদের কথা শুনছে না। কারণ পুলিশ বলে, তোমরা নির্বাচিত এমপি না। এমপি তো আমরা তোদের বানিয়েছি, জনগণ তো তোদের এমপি বানায়নি।’

আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও রাতে ভোট করছে অভিযোগ করে অলি আহমদ বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত হতে হবে। সাহসী লোকের প্রয়োজন। দেশের মানুষের অধিকার হরণ হয়েছে। সেটা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এখানে অমুকের দ্বারস্থ, তমুকের দ্বারস্থ হলে চলবে না। নিজের যেটা আছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবো। এটা কঠিন কাজ নয়। ১৬০ জন লোকও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করলে অচিরেই এ দেশে পুনরায় নির্বাচন অসম্ভব নয়। ১৯ বার মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েও এখন বেঁচে আছি। নিশ্চয়ই কোনও কাজ আল্লাহ আমাকে দিয়ে করাবেন। সেই অপেক্ষায় আছি।’

রাজনৈতিক নেতৃত্বে নয়, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে দাবি করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন নতুন লোকেরা বই লিখছেন যারা যুদ্ধ দেখেন নাই, যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে গেছেন তারাও এখন বই লিখছেন। অনেক শিক্ষকেরা যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তারাও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বই লিখেছেন। সত্য কথা হলো, সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রথমে যোগদান করেছে তৎকালীন ইপিআরের সদস্যরা, পুলিশ, ছাত্র। বিশেষ করে ছাত্র-শ্রমিক সেদিন যদি না আসতো তাহলে আমদের পক্ষেও এ দেশ স্বাধীন করা সম্ভব হতো না। একপর্যায়ে কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশের লোক এই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য পরিশ্রম করেছে। শুধু কয়েকজন রাজনীতিবিদের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই।’

অলি আহমদ আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন, আমি বলবো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে বেশি রেখেছেন। দুইজনই বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করেছেন। দুইজনকে সম্মান করা উচিত। তাদের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য রেখে মিথ্যা কথা বলে দেশের লোককে বিভ্রান্ত করা ঠিক না।’

এলডিপি মহাসচিব ড. রোদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম বীর প্রতীক, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন, গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Md. Abdus Sobur ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩৭ এএম says : 1
Documents dekhan & chapa baji na kore. Allah Ameka live rekhese .... jonno.
Total Reply(0)
হোছাইন। ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:১৪ এএম says : 0
এটা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সময় সাধারণ জনগন বেলেছিল।ধন্যবাদ অলিসাহেবকে সাধারণের মনের করা বলার জন্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন