এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত বড় মনের একজন নেতা। তিনি বাংলাদেশকে ভালবাসতেন, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি জীবিত থাকতেই কক্সবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য আমাকে বলেছিলেন। আজ তার কথা খুব বেশি করে আমার মনে পড়ছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ আমি সংসদ সদস্য। সাধ্যমত কক্সবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করে যাব।
কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহিলা সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী এবং মহিলা সংস্থার সভানেত্রী ওই মাদরাসার সহ সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এ কথা বলেন।
তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসায় এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, নারীরা হচ্ছে দেশের অর্ধেক। সেই নারীদের শিক্ষিত হওয়া ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকায় শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন এই মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি আগেও মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। এর উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে তাই করবেন।
অনুষ্ঠানে মাদরাসা উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, নারীরা এখন বহু দূরে এগিয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা তার প্রমাণ।
এক সময় বলা হতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক জেলায় জেলায় সরকারি ভাবে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছেন। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দেশের আলেম সমাজের শত বছরের দাবি পূরণ করেছেন।
কক্সবাজার পৌরভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার মেয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে নয়, আপনাদের ভাই হিসেবে মাদরাসার সব কাজের সাথে থাকতে চান বলে তিনি ঘোষনা দেন।
তিনি বলেন, আরো ১০/১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিনি করেছেন। ছুটিতে ইসলামিয়া মাদরাসার ছাত্রীরা রাস্তাতায় বেরহলে পরীর ঝাঁক বের হয়েছে বলেই মনে হয়। ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা সারাদেশে একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহ নূরী মাদ্রাসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে শিক্ষামন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ড. আবুরেজা নদবী, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের ও তিনি ধন্যবাদ জানান।
বক্তব্য রাখেন,কক্সবাজার সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, প্রফেসর আবুল মনসুর, আফরোজা সুলতানা, জেলা পরিষদ সদস্য যথাক্রমে জিয়া উদ্দিন জিয়া, আশরাফ জাহান কাজল, জান্নাত আরা ও আসমাউল হুসনা, প্রভাষক আফরোজা সোলতানা, বিশিষ্ট সমাজসেবক আইয়ুবুর রহমান সাংবাদিক শামসুল হক শারেক ও প্রফেসর ফরিদুল আলম।
অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্য বৃন্দ, অভিভাবক, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন