গোপালগঞ্জে নিখোঁজ যুবক ইমদাদুল হক ভূঁইয়ার (২৮) পোড়া লাশ মিলল পরিত্যাক্ত ভবনে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের পরিত্যক্ত কোয়াটারের একটি কক্ষ থেকে ওই যুবকের পোড়া লাশটি উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘোড়াদাইড় গ্রামের ওমর আলী সিকদারের ছেলে হাফিজুর রহমান সিকদারকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
ইমদাদুল হক ভূঁইয়া কাইককান্দি ইউনিয়নের ঘোড়াদাইড় গ্রামের অলিয়ার রহমান ভূঁইয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের চাচাতো ভাই পাইককান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিপন ভূঁইয়া জানান, গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ইমদাদুল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় ইমদাদুলের পিতা অলিয়ার রহমান একটি জিডি দায়ের করেন। শুক্রবার স্থানীয়রা পাইককান্দি ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তারের পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারের একটি কক্ষে পঁচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে। গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই যুবককে হত্যা করার পর হত্যাকারীরা আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এতে লাশ পুড়ে গেছে। মাদক ব্যবসা নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন