শ্লীলতাহানির পর আগুনে পুড়িয়ে মারা ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ঘটনার আলোচনার মধ্যে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষতির এক আদেশে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রিট পিটিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন অফিস ও দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়নানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়।
আদেশ মোতাবেক প্রতিটি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আদেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে জরুরিভিত্তিতে একটি করে কমিটি গঠন করে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাই কোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
উচ্চ আদালতের আদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিটি গঠন ও আইন প্রয়োগের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি নির্দেশনা ছিল।
যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে বিদ্যমান আইনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিচার নিশ্চিত করার কথাও বলা আছে নির্দেশনাটিতে। সেখানে আরও বলা আছে, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে যতদিন না একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ আইন গ্রহণ করা হয় ততদিন পর্যন্ত গণপরিসরে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের সমস্ত কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন