মাসিক নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আমাদের দেশে প্রচলিত। এর মূল কারণ যথাযথ যৌন শিক্ষার অভাব। মাসিকের সময় প্রায় সব মেয়েরই অল্পস্বল্প পেটে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু কারো কারো অনেক বেশি হয়। মাঝে মাঝে এত বেশি ব্যথা হয় যে স্কুল কলেজে বা অফিস যাওয়াও সম্ভব হয়না। ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা যায় না। স্কুল-কলেজ যাওয়া মেয়েদের এই সমস্যা বেশি হয়।
জরায়ুতে সমস্যা থাকলে মাসিকের সময় ব্যথা হতে পারে। মানসিক চাপ এবং ডিম্বাশয়ে চকলেট সিস্ট থাকলে মাসিকের সময় ব্যথা হয়। পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ ও জন্মগত জরায়ুর ত্রুটির কারণে এমন ব্যথা হতে পারে। তাই ব্যাথা হলে ব্যাথানাশক ওষুধ না খেয়ে কারণ বের করার চেষ্টা করা উচিত। চিকিৎসককে দেখান উচিত। পরীক্ষা নিরীক্ষা করান উচিত।
মাসিকের সময় ব্যথা অনেক সময় এত বেশি হয় যে রোগীকে খুব অসুস্থ দেখায়। এই ব্যথার সাথে অনেকের মাথাব্যথা, কোমরব্যথা ,বমিভাব , অস্বস্তি এবং বমি হতে পারে।
মাসিকের সময় হাল্কা ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতে ব্যথার তীব্রতা কমে। তবে ভারী ব্যায়াম করা যাবেনা । এসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। মাসিকের সময় মানসিক চাপ বাড়ে । কাছের মানুষকে এই সময় চাপমুক্ত রাখার ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তলপেটে গরম সেঁক দিলে অনেকেই উপকার পান। জরায়ুর সমস্যায় অপারেশন করলে এই সমস্যা অনেক কমতে পারে।
মাসিকের সময় ব্যথা খুব পরিচিত সমস্যা। লজ্জায় অনেকেই এই সমস্যার কথা বলতে পারেন না। আশা করি সবাই সচেতন হবেন। এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন