চাকরি দেয়াকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে মারামারির ঘটনায় এক পক্ষের দু’জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে রংপুর পাঠানো হয়েছে। গত তিন ধরে উত্তেজনায় পর পর দুদিন মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ চাকুরী দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত সোমবার হতে শহরের ধাক্কামারা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে এতে কয়েকজন আহত হয়। এরপর বুধবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে শহরের রুহিয়া মোড়ে আবার মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে এক গ্রুপের আব্দুল কাইয়ুম নামের একজন আহত হয়। পরে তাকে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনটি জানান, পঞ্চগড় সদর থানার এস আই দ্বীন মোহাম্মদ। পরবর্তীতে তিনি ঘটনাস্থলে না থাকায় আর কিছু বলতে পারেননি।
জানা যায়, সরকারী চাকুরী দেয়ার নামে দু’পক্ষ প্রার্থীদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। এরমধ্যে একপক্ষের প্রার্থীর চাকুরী হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাদল বর্তমান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পাঁচপীর বোদায় কর্মরত। তিনি দলীয় প্রভাবে এক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দেয়। এতে অপর পক্ষ আরিফুল ইসলাম পল্লব গ্রুপের চাকুরী না হওয়ায় এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ দিকে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারের ঘটনায় ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান বাদলকে বেদম প্রহার করা হয়। এরপর তাকে দ্রুত রংপুর মডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে আহত হয়ে ভর্তি হওয়া আব্দুল কাইয়ুম জানায়, দ্বিতীয় দিনের ঘটনায় তার ভাতিজা আসাদুজ্জামান বাদলকে বেদম প্রহার করা হয়। পরদিন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। সে অভিযোগ করে যে পল্লব এ সব কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে। তবে তার ভাতিজা আসাদুজ্জামান বাদল চাকুরীর নামে টাকা নিয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে আরিফুল ইসলাম পল্লবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে সদর পঞ্চগড় থানার অফিসার (তদন্ত) মো. জামাল হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। অফিসার ইনচার্জ থানায় নেই তিনি রংপুরে কনফারেন্সে আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তেজনা এখনো চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন