রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। র্যাবের দাবি, নিহত দুজন ভ্যানগাড়ির চালক পরিচয় দিয়ে বছিলার ওয়াহাব নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নেন। র্যাবের ধারণা, তাঁরাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গেছেন। তাঁরা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ছদ্মনামে তাঁরা বাড়ির একটি কক্ষ মাসে দেড় হাজার টাকায় ভাড়া নেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা। এদিকে, দুই জঙ্গির নিহতের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাস দমন আইন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় নিহত দুই ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-২এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, নিহত দুজনের বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর। তবে আঙুল পুড়ে যাওয়ার কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া যায়নি। সিআইডি তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। আশা করা যায়, দ্রুতই দুজনের পরিচয় জানা যাবে। আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, র্যাব-২ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১২৭।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, ভাড়া নেওয়ার সময় কোনো পরিচয়পত্র দুই যুবক মালিককে দেননি। এ ঘটনায় আটক বাড়ির মালিক ওয়াহাব, মসজিদের ইমাম ইউসুফ, বাড়ির তত্ত¡াবধায়ক সোহাগ ও সোহাগের স্ত্রী মৌসুমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেছে, দুই যুবক একজন আরেকজনকে সুজন ও সুমন নামে ডাকতেন। তবে তাঁরা যে ঘরে থাকতেন, সেখানে কাউকে যেতে দিতেন না।
উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলার মেট্রো হাউজিং এলাকায় অভিযান শুরু করে র্যাব সদস্যরা। পরে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায়। সোমবার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল দল ভেতরে গিয়ে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বিকেল ৪টা দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন