ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দমকা বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৩-৪ফুট পানি বিদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের তোড়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪৭/১ মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামের বেরীবাধ ভেঙ্গে চারটি গ্রাম প্রাবিত হয়েছে। এছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলা চালতিাবুনিয়া ইউনিয়নের বেরীবাঁধ ভেঙ্গেও তিনগ্রাম প্লাবিত হবার খবর পাওয়া গেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন খাজুরা পয়েন্টে বেরীবাঁধ ভেঙ্গে যাবার আশংকায় বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার বেরীবাঁধ বিহীন চর কাসেম.চর নজির ও চর বাংলা থেকে গবাদী পশু ও জনগন সাধারনকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে চর আন্ডা এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জন্য একটি মাত্র সাইক্লোন সেল্টার থাকায় সেখানকার মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন চর আন্ডা যুবলীগ সভাপতি তুহিন হাওলাদার। বৃহস্পতিবার থেকে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষকে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পেরেছেন। সন্ধ্যার পর পরই আরো লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আসবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন