পাখিটা কাঁদতে থাকলো।
নজরুল তুমি
জাহিদ হোসেন
শিশিরের ডানা ভেঙে যে রোদ তোমার উঠোনে
অনায়াসে বাসা বাঁধেÑ
ময়ূর পেখম ছড়ায়ে ছন্দ তোলে ফোঁটায় ফোঁটায়
সেখানে নজরুল অক্লান্ত বিদ্রোহী।
জ্যৈষ্ঠের মেঘে মেঘে লাল ফিতা খুলে
তার অনুদানে কত না খেলেছি জলজ খেলা,
আজ সেই নজরুলÑ
আঙুলে জড়িয়ে থাকা ফাগুন,
পাশের বাড়ির ছাদে পড়শী চাঁদ দেখে দেখে
তৃপ্তির ঘ্রাণ বিলায় বিলাসী পৃথিবীতে।
আজ দীর্ঘশ্বাসের নামতা পড়ে
পকেটে সূর্যাস্ত নিয়ে দৌড়,
হৃদয়ে বিশাল শূন্যতা নিয়ে আকাশ ছুঁয়ে আছে নজরুল
তাঁকে ঘিরে হতে পারে আজ পত্রিকার নিখোঁজ সংবাদ।
আজ বৃষ্টি হবে
নূরজাহান আক্তার নীরা
দিগন্ত থেকে দিগন্তর সারা আকাশজুড়ে
মনমেঘের ছুটোছুটি
পুকুর ডোবা মুখরিত ব্যঙ্গের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর শব্দে
বর্ষাকে জানায় স্বাগতম
গাছে গাছে কদমও ফুটেছে
বৃষ্টির জলে ¯œানের আশে
আজ বৃষ্টি হবে।
হাসবে প্রকৃতি, দুর্বার যৌবনে নেচে উঠবে আবার
পুকুরজুড়ে প্যাঁক প্যাঁক শব্দে পাতিহাসের লাফালাফি
গর্তের ভিতরে লুকিয়ে থাকা পিপীলিকাও
ডানা মেলে বেরিয়ে এসেছে
আজ বৃষ্টি ছোঁবে বলে।
বাবলার ডালে ঝুলন্ত বাসার পাখিটি দিশেহারা
ছোট ছানাদু’টি নিয়ে; কেননা আজ বৃষ্টি হবে।
বৃষ্টিবর
সুজন শান্তনু
একবুক রৌদ্র করোটি নিয়ে আমি মরুর ধু ধু হয়েছিলাম
টগবগে মগজজুড়ে ফুটেছিল দশরথের সমাতপ ধ্যান,
মরীচিকা? তাকে আমি ভেবেছিলাম যাযাবর জীবনের প্রাপ্য।
আমি ভালোই ছিলাম ছায়াহীন অরক্ষিত সেই তপ্ত তটে;
পড়িনি ইশতেখারার নামাজ, পেঙ্গুইনের মত মাথা তুলে
গাইনি খনার সঙ্গম গান; চাতকের কণ্ঠে তৃষ্ণাকাতরতাÑ
ও ঈশ্বর! সে তো আমি নই।
তবে ক্যানো এই পোড়াচোখে দিলে বিষাদের পয়স্বিনী মেঘ,
বুকের ভেতরজুড়ে কালবোশেখি ঝড়?
আমি তো চাইনি তোমার এই বৃষ্টিবর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন