টাঙ্গাইলে ধানের দাম কম হওয়ায় এবং শ্রমিক সংকটে ধান না কেটে ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন এক কৃষক। রোববার দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আব্দুল মালেক সিকদার তার ক্ষেতের পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে এমন প্রতিবাদ করেন। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদরসহ ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় উঠতি পাকা ধানের প্রায় ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশ ধান পেকে গেলেও কৃষক দিনমজুরের অভাবে ঘরে তুলতে পারছেন না। দিন প্রতি একজন দিনমজুরকে দিতে হয় ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা। আর বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য প্রতিমণ ৫০০ টাকা । এতে প্রায় দুই মণ ধান বিক্রি করে কৃষক একজন দিনমজুরকে (কামলা) মজুরি দিতে হচ্ছে। আবার অধিক মজুরি দিয়েও দিনমজুর পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে জমিতে পাকা ধান জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে। কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক সিকদার বলেন: সরকার মণ প্রতি ধান কিনতে ৫শ টাকা নির্ধারণ করেছে। ধান কাটতে দিনমজুরকে মণ প্রতি দিতে হচ্ছে প্রায় এক হাজার টাকা। এরপরও ধান ঘরে তুলতে আরো খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বেশি মজুরি হলেও দিনমজুর (কামলা) পাওয়া যায় না। ক্ষেতে ধান পাকলেও তা ঘরে তুলতে পারছেন প্রান্তিক কৃষকরা। তাই এক দাগের ৫৬ শতাংশ ধানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এক কৃষক। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন: এই সময়ে ধানের বাজার কিছুটা কম থাকলেও কৃষক যদি ধান সংরক্ষণ করে রাখে তবে ক’দিন পরেই অধিক মূল্য পাবে। প্রচন্ড তাপদাহসহ নানা কারণে কিছুটা শ্রমিক সংকট থাকলেও তা তীব্র নয়। তিনি আরো বলেন: জেলায় গত বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক পরিমাণ বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০২ হেক্টরের ধানের প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন