শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টাঙ্গাইলে ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কৃষকের অভিনব প্রতিবাদ

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৯, ৮:৪৭ পিএম

টাঙ্গাইলে ধানের দাম কম হওয়ায় এবং শ্রমিক সংকটে ধান না কেটে ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন এক কৃষক। রোববার দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আব্দুল মালেক সিকদার তার ক্ষেতের পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে এমন প্রতিবাদ করেন। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদরসহ ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় উঠতি পাকা ধানের প্রায় ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশ ধান পেকে গেলেও কৃষক দিনমজুরের অভাবে ঘরে তুলতে পারছেন না। দিন প্রতি একজন দিনমজুরকে দিতে হয় ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা। আর বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য প্রতিমণ ৫০০ টাকা । এতে প্রায় দুই মণ ধান বিক্রি করে কৃষক একজন দিনমজুরকে (কামলা) মজুরি দিতে হচ্ছে। আবার অধিক মজুরি দিয়েও দিনমজুর পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে জমিতে পাকা ধান জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে। কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক সিকদার বলেন: সরকার মণ প্রতি ধান কিনতে ৫শ টাকা নির্ধারণ করেছে। ধান কাটতে দিনমজুরকে মণ প্রতি দিতে হচ্ছে প্রায় এক হাজার টাকা। এরপরও ধান ঘরে তুলতে আরো খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বেশি মজুরি হলেও দিনমজুর (কামলা) পাওয়া যায় না। ক্ষেতে ধান পাকলেও তা ঘরে তুলতে পারছেন প্রান্তিক কৃষকরা। তাই এক দাগের ৫৬ শতাংশ ধানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এক কৃষক। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন: এই সময়ে ধানের বাজার কিছুটা কম থাকলেও কৃষক যদি ধান সংরক্ষণ করে রাখে তবে ক’দিন পরেই অধিক মূল্য পাবে। প্রচন্ড তাপদাহসহ নানা কারণে কিছুটা শ্রমিক সংকট থাকলেও তা তীব্র নয়। তিনি আরো বলেন: জেলায় গত বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক পরিমাণ বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০২ হেক্টরের ধানের প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মামুনুর রশিদ ১২ মে, ২০১৯, ৯:২৩ পিএম says : 0
ধানের দাম কমপক্ষে এক হাজার হওয়া দরকার
Total Reply(0)
Jewel ১২ মে, ২০১৯, ৯:৩৮ পিএম says : 0
কৃষকের ধান করাই উচিত না। আমাদের দেশের মানুষের জন্য বিদেশ থেকে গম এনে রুটি খাওয়া প্র্যাকটিস করা উচিত?
Total Reply(0)
Amir ১৩ মে, ২০১৯, ৯:৪৫ এএম says : 0
রপ্তানি করে ধানের ক্ষতি কৃষকে পুষিয়ে দেওয়া যেতে পারে!
Total Reply(0)
ইলিয়াস হাবিব ১৩ মে, ২০১৯, ১০:১৮ এএম says : 0
কৃষি সহ সমস্ত অর্থনৈতিক খাতেই আকাশচুম্ভি বৈষম্য বিরাজমান । কৃষিখাত ব্যতিত সবখাতেই কম বেশী জীবন বৈচিত্রের টানাপোড়ন কম। আয়ও বেশী । কম হইলেও সঞ্চয় থাকে । উন্নত জীবন পরিচালনায় ব্যস্ত। আর কৃষকের আয় ঋনাত্বক । জীবন বৈচিত্র সেকেলেই রয়েছে । ধণী কৃষক থেকে বতর্মানে জমির ভাগ বণ্টনের খেশারতে প্রান্তিকের নীচের অবস্থানে রয়েছে ।আজ জমি বর্গা প্রথা সহ আর্থিক সহযোগিতা সত্ত্বেও কৃষকের আয়ের কোঠা ঋনাত্বক । কৃষকের সংখ্যা এখনো অণ্যান্য খাত থেকে বহুগুনে বেশী ।কৃষকের সন্তানরা আজ বেকার হইতেছে বহুগুনে । উৎপাদনের চেয়ে জমি বিক্রয় বেশী প্রাধান্য দিতে হইতেছে আধুনিক সাজার লেবাছে বাধ্য হইতেছে । কৃষকরা কি মানুষ না অন্য কিছূ ? আধুকি সাজার গ্যারাষ্টি কোথায় ? শুধুই শহর উন্নয়ন। কিন্ত খেটে খাওয়া মানুষরাই শহরের উন্নয়নের যোগানদার । অন্যান্যদের থেকে কৃষকের বৈষম্য লাগবের জন্য উন্নত দেশের অনুস্বরন করা উচিৎ ।
Total Reply(0)
মোয়াজ্জেম ১৩ মে, ২০১৯, ১:১২ পিএম says : 0
আসলে এরা তো পারবে না রাস্তায় নেমে ন্যজ্জ্য অধিকার আদায় করতে,এরা এভাবেই ধুকে ধুকে মরবে,এদের দেখার মত কেউ নেই।যদি উচ্চ পরযায়ের মানুষ মাঠে এসে কাজ করতো তাহলে বুজতো কৃষক কত কষ্ট করছে।কিন্তু কি করবে।জমি তো আর ফেলে রাখতে পারবে না। ভাই আমিও এক কৃষকের সন্তান তাই আমি বুজি আমার বাবা কতটা কষ্ট করে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন