জাহাজ বিধ্বংসী ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে তুরস্ক। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রথমবার ‘আটমাকা’ নামক এ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করলো দেশটি। জাহাজ বিধ্বংসী এ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্রোমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। আটমাকা ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে তুর্কি প্রতিরক্ষা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রকেটসান। আগামী ১৮ মাসে এটি তৈরি সম্পন্ন হবে। তবে এর কার্যকারিতা কেমন হবে তা জানানো হয়নি। নতুন এ রকেট সিস্টেম থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বের যেকোনো লক্ষ্যে ২৪০টি রকেট নিক্ষেপ করা সম্ভব। লক্ষ্যবস্তুর চতুর্দিকে চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা এ রকেটের আঘাতে ধ্বংস হবে। আনাদোলু আরো জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সিরিয়া বারবার ইদলিবে তুর্কি সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে। এতে করে বাশার আল আসাদ তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্কে চিড় ধরাতে চায় বলে অভিযোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর আনাদোলুর। এরদোগান আরও বলেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিবের বেসামরিক লোকজন, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলা চালাচ্ছে বাশারের অনুগত সরকারি বাহিনী। বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর হামলায় গত রোববারও ইদলিবে তুরস্ক সীমান্তের কাছে সিরিয়ার তিন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। ইদলিবের প্রত্যন্ত ওই অঞ্চলটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইদলিবের আল-তাহ, আল-হাবিত ও আল-কাবিনাহ এবং উত্তরাঞ্চলীয় হামাপ্রদেশের লাতামিনা, কাফের জিতা, জেজেন, চার মাঘার, মেদান আল-গাজাল ও সারমানি গ্রামে বিমান হামলার পাশাপাশি কামান দিয়ে গোলাবর্ষণ করা হয়। তবে হামলায় তুরস্কের সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চৌকির কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ও ৪ মে তুরস্কের ওই পর্যবেক্ষণ চৌকির কাছে হামলা হয়েছিল। কাজাখস্তানের আস্তানায় ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার পর সিরিয়ার সীমান্তে ১২টি পর্যবেক্ষণ চৌকি নির্মাণ করে তুরস্ক। ২০১১ সালে বিরোধীরা আসাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে নামলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সেই সুযোগে দেশটিতে অস্থিরতা তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইলে প্ররোচনা ও সহায়তায় সিরিয়ায় জন্ম নেয় ইসলামী স্টেট (আইএস) নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনটির। বর্তমানে দেশটি আইএস জঙ্গিমুক্ত হলেও কয়েকটি স্থানে এখনও বিদ্রোহীরা শক্ত অবস্থানে আছে। ওই সব এলাকা মুক্ত করতে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বাশার সরকারের অনুগত বাহিনী। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন