পটুয়াখালীর মহিপুর থানা হাজত থেকে গালায় ফাঁস লাগানো ইয়াবাসহ আটক ওমর ফারুক রায়হান (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত এগারটা পঞ্চাশ মিনিটে বাথরুমের ভ্যান্টিলেটর থেকে তার লাশ উদ্বার করা হয়েছে বলে জানায় থানা পুলিশ। মৃত রায়হান ঝালকাঠী সদরের তবিরকাঠী এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র। রায়হান ইমন পরিবহন বাসের একজন হেলপার।
মহিপুর থানা পুলিশ জানায়, বুধবার রাত রাত নয়টা ৪৫মিনিটে কুয়াকাটা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে থেকে ১৩পিচ ইয়াবাসহ রায়হানকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের এসআই সাইদুল। রাত এগারটা ৪৫ মিনিটে সকলের অগোচরে পড়নে লুঙ্গি দিয়ে থানা হাজতের ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় ফাস দেয় রায়হান। ওই রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল আহমেদ, নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাস এবং কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জামানের উপস্থিতে উপস্থিতে লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ আরো জানায়, রায়হানের নামে বাকেরগজ্ঞ, ঝালকাঠি, মহিপুর থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানান, গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ থানা হাজত থেকে উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা বলে মনে হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মইনুল হাসানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান,পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোন গাফিলতির প্রমান পাওয়া য়ায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন। এছাড়া নিহত ওমর ফারুকের মৃতদেহ তার মা রেবা বেগমের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন