ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারাখানা দুটিকে একটি করে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। সরকার চাইছে এ কারখানার মাধ্যমে বছরে অন্তত ৯ কোটি ২৪ লাখ মেট্রিন টন সার উৎপাদন সম্ভব। এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে দুটি কারখানাকে একত্রিত করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এতথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, হাবিবুর রহমান মোল্লা, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও পারভীন হক সিকদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সার বিতরণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনাকালে জানানো হয়, ঘোড়াশাল সার কারখানা ও পলাশ সার কারখানা আলাদা থাকায় উৎপাদন কম হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে এ কারখানা দুটি একত্রিত করা হবে। এজন্য সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৪৬ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। সরকার চাইছে, দুটি সার কারখানাকে একত্রিত করা হলে বর্তমানের চেয়ে অধিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। যার মাধ্যমে দেশে কৃষি উৎপাদনে যে সারের চাহিদা রয়েছে তা দিয়েই ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে এই সার কারখানার বাৎসরিক উৎপাদন দাঁড়াবে ৯ লক্ষ ২৪ হাজার মেট্টিক টন। আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া প্রকল্প স্থাপন হবে।
সভায় শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদনে যাতে কোন ধরণের বিঘœ না সৃষ্টি হয়, সেজন্য কমিটির পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুপারিশ জানিয়েছে কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিল্প কারখানার উৎপাদন ভালো হলে দেশ অথনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন