শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আর্থিক নথি-সহ সমনে সায়, কোর্টের রায়ে বিপাকে ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ৪:৩১ পিএম

মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার মামলা, কংগ্রেসের হাতে নিজের ব্যবসার নথি তুলে দেওয়া নিয়ে।
প্রেসিডেন্ট তথা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আর্থিক লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে তার বিরোধী শিবির। সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নজরদারি কমিটি সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টিং সংস্থার থেকে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে সমন পাঠিয়েছিল। এবং তখনই ট্রাম্পের আইনজীবীরা বেঁকে বসে দাবি করেন, কংগ্রেস এ ভাবে প্রেসিডেন্টের আর্থিক নথি চাইতে পারে না। সোমবার কলম্বিয়ার ফেডারেল আদালতের বিচারপতি অমিত মেহতা সেই আপত্তি সরাসরি খারিজ করে জানালেন, হোয়াইট হাউসে বসে প্রেসিডেন্ট কোনও বেআইনি কাজ করছেন কি না, নিজেদের এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই তার নজরদারি চালাতে পারে কংগ্রেস। তাই সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রয়োজনে নথি দেখতে চাইতেই পারে। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের ব্যবসায় আর্থিক লেনদেনের তদন্তে কংগ্রেস কত দূর যেতে পারে, তা নিয়ে এই প্রথম কোনও ফেডারেল কোর্ট মুখ খুলল।
ট্রাম্প যদিও আদালতের এই রায় মানছেন না। তার দাবি, এই বিচারপতি বারাক ওবামা আমলের বলেই এমন কথা বলছেন। ট্রাম্প শিবির বলছে, ‘২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীরা নতুন অস্ত্রের খোঁজে প্রেসিডেন্টকে অযথা হেনস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ওই অ্যাকাউন্টিং সংস্থাটি আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতারই আশ্বাস দিয়েছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা কালকের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের দাবি, মার্কিন কংগ্রেস বিগত কয়েক মাসে একাধিক বার ট্রাম্পের আর্থিক লেনদেন এবং আয়কর সংক্রান্ত নথি চেয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ও তার আইনজীবীরা বারবার তা দিতে অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি মেহতা প্রেসিডেন্ট শিবিরের এই আপত্তিকেই খারিজ করে বলেন, ‘শুধু নজরদারি নয়, মার্কিন কংগ্রেসের হাতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার অধিকারও দেওয়া রয়েছে। তাই সন্দেহ হলে কাগজপত্র তারা দেখতে চাইতেই পারে।’ ৪১ পাতার রায়ে বিচারপতি এ-ও জানান যে, অতীতে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং বিল ক্লিন্টনের কিছু কাজ বেআইনি বলে মনে হওয়ায় তার সবিস্তার তদন্ত করেছে মার্কিন কংগ্রেস। তাই আমেরিকার বড় অংশ মনে করছে, ট্রাম্প-শিবির পাল্টা চ্যালেঞ্জ করার হুমকি দিলেও কলম্বিয়া আদালতের এই রায়ে কিছুটা হলেও চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন