শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জামায়াত-বিএনপি সমান মোনাফেক : মতিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৯, ৬:০৮ পিএম

জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতাদের মোনাফেক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এরা ধর্মকে ব্যবহার করে, ধর্মকে পুঁজি করে, আর ধর্ম দিয়ে সমস্ত অধর্ম সাধন করে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ‘নারীর অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ : শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক সেমিনার মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, নারী নেতৃত্ব হারাম, পাশে বসলে আরাম- এটি হচ্ছে জামায়াতের একটি বাস্তব চেহারা। তাদের আরেকটি চেহারা আমরা ২০১৪-২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেখেছি।

শবেবরাতের রাতে বাসে করে মা-বাবা-মেয়ে বাড়ি ফিরছেন, তাদের ওপর পেট্রলবোমা দিয়ে মেরে ফেলা- এর নাম কি ইসলাম? জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত ও নস্যাৎ করতে চায়। যেমন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় করেছিল।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে সরকার গঠন করার পর জামায়াত বেছে নিল কৃষি, শিল্প ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই কৃষিতে আমরা প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম, সেটাই বেছে নিল। এই তিনটা জায়গা তারা নষ্ট করে দিল। সমাজকল্যাণের নামে বিভিন্ন জায়গায় শাখা-প্রশাখা তৈরি করে। কৃষি সেক্টরে গিয়ে কৃষিকে পঙ্গু করে দিল। সেখানে থেকে শেখ হাসিনাকে টেনে তুলতে হচ্ছে। সুতরাং আমাদের এই কথাগুলোকে মাথায় রাখতে হবে। আমরা তাদের মতো হলে শেখ হাসিনা আমাদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। এই কথাটা মাথায় রেখেই আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই সমস্ত মোনাফেক নারী নেতৃত্বকে হারাম বলে। আর যখন শিফনের সেই জর্জেট বা চুল খোলানো গায়ে সুন্দর কুশন পরে তাদের পাশে বসলে তখন আরাম আর আরাম।

আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সভাপতি ড. সুলতানা সফির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু চেয়ারের প্রথম অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন