আসন্ন ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে ২টি ফ্লাইওভার ও ৪টি আন্ডার পাসা যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মোক্ত করা হচ্ছে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফ্লাইওভার ও আন্ডার পাসগুলো উদ্ভোধন করবেন বলে টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ ২৬টি জেলার ৯০টি রোডের বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে থাকে। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়- যা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তবে সূত্র জানান, প্রকল্পে দুটি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য মাঝে মধ্যে মহাড়কের বিভিন্ন স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট নিত্যবছরের ঘটনায় পরিনত হয়। ভয়াবহ এই যানজটে আটকা পড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় যানজটের আটকা পড়ে দুর্ভোগের চিত্র ছিল বর্ণনাতীত। তবে মহাসড়কে ধেরুয়া এলাকার নির্মাণাধীন ফøাইওভার ও সেতুগুলোর কাজ শেষ হলে গত বছর ঈদুল-আয-হা’র আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানীয় প্রধানমন্ত্রী যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় ওই ঈদে যানজটের সেই চিরচেনা চিত্র ছিল না বললেই চলে। সেই থেকে মহাসড়কের চন্দ্রা চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, হাটুভাঙা রোড, দেওহাটা, মির্জাপুর, কুর্নী, ধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, ঘারিন্দাসহ প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় স্থানে বিগত দিনে বিভিন্ন যে যানজট লেগে থাকতো তা এরই মধ্যে অনেকটাই দুর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
সূত্র আরও জানান, আসন্ন ঈদে এই মহাসড়ক দিয়ে হাজরো মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘœ করতে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২টি ফ্লাইওভার এবং ৪টি আন্ডার পাসের উদ্বোধন করবেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি ছাড়াও জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান জানিয়েছেন।
এই ফ্লাইওভার দুটি হলো কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা। অপরদিকে আন্ডার পাসগুলো হলো কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা। এরমধ্যে কোনাবড়ি ফøাইওভারের দৈর্ঘ্য ১৬৪৫ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২৮৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার।
অপরদিকে মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও ঘারিন্দা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ৪শ মিটার প্রস্থ্য ১৮.১ মিটার ও দেওহাটা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ২৬০ মিটার ও প্রস্থ ১৮.১ মিটার বলে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন