সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি

আদালত স্থানান্তর :

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:৪১ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের আদালত স্থানান্তরে সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বদরোজ্জো বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রাগীব রউফ চৌধুরী, এহসানুর রহমান, ফাইয়াজ জিবরান ও মীর হেলাল উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ এবং দুদকের পক্ষে মো. খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কেরানীগঞ্জ ঢাকা মহানগর এলকার মধ্যে নয়। এটা মেট্রোপলিটন আদালতের এখতিয়ারের বাইরে। এটা অন্য সেশন ডিভিশন (অন্য অধিক্ষেত্র)। আর আইন অনুযায়ী মামলার বিচার হতে হবে উন্মুক্ত আদালতে। এসময় বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি বলেন, এর আগে উনার মামলার বিচার তো আরেকটি কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হয়েছে, এখন আরেকটি কারাগারের অস্থায়ী আদালতে বিচারের বিষয়টি এসেছে। আগে কারাগারে আদালত স্থাপনের ক্ষেত্রে আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? সেটা কি রেস্ট্রিকডেড ছিল না? আমরা মনে করি, এই আবেদনের সাথে এই মামলার চার্জশিট দেয়া উচিত ছিল। তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হত। এছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেটটাও আমাদের দেখানো উচিত ছিল। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, তাহলে আজকে এই পর্যন্তই রাখছি। আরেকদিন এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি ফারুক রহমানের বিচার জেলখানায় হয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলাও চলেছিল। উনারাই সেটা করেছিলেন। বিডিআর মামলার অনেক আসামি। সেটার বিচার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কারা অধিদপ্তরের মাঠে হয়েছিল। এ মামলাটাও ওখানে হত। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা হয়েছিল। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পরে মামলাটি পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে জেলখানা ট্রান্সফার হয়েছে। এখন ওই কোর্টটা জেলখানার ভেতরে নয় সামনে। আমাদের কাছে ল্যাপটপে বিষয়টি আছে। চাইলে দেখতে পারেন। তখন আদালত সিডি জমা দিতে বলে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে মেট্রো সেশনের কোনো বিষয় না। বিশেষ জজ আদালতের মামলা। সুতরাং এখানে কোনো মেট্রো সেশনের কোনো সম্পর্ক নাই। পরে এ জে মোহাম্মদ আলীর সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করে। নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে গত রোববার উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে বিশেষ জজ আদালত-৯ পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গেজেটের কার্যকারিতাও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন