শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশকে নতুন পথ দেখিয়ে গেছেন- মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ৪:৫৯ পিএম

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব মিশে আছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনিই বাংলাদেশের নতুন পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি তার ১৯ দফার দর্শনে বাংলাদেশের সবকিছু তুলে ধরেছেন। যারা স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করে তারা সেদিন দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। অর্থনীতি আবদ্ধ করে রেখেছিল। শহীদ জিয়া সেসব মুক্ত করে দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়ে গেছেন। সে পথেই আজকে বাংলাদেশ এগোচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তিনি। আজকের উন্নত কৃষি তথা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের ব্যবস্থা তিনিই করেছেন। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল সকলকে জিয়াউর রহমানের আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো বিভক্তি বা বিভাজনের চিন্তা না করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে। হতাশ না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ছিলেন সফল। তার নেতৃত্বে জাপানকে পরাজিত করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েছিল বাংলাদেশ। তার অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি শহীদ জিয়ার পতাকা সমুন্নত রাখতে পথে প্রান্তরে ছুটে বেরিয়েছেন। আজকে খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী। যারা গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারা আজকে বেগম জিয়াকে কারান্তরীণ করে রেখেছে। আর এটা করেছে একটি কারণে, তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায়।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনটি জীবনের অধিকারী। একজন সৈনিক হিসেবে। কারণ তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আবারো তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে তার কণ্ঠস্বর সবারই জানা। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি সফল। শুধু তাই নয় রাজনীতিবিদ হিসেবে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং একটি দর্শন দিয়ে গেছেন। সবক্ষেত্রেই তিনি সফল। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেছেন। সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করেন। একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ শহীদ জিয়া সেখানে সফল।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, শহীদ জিয়া কঠিন সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন একজন তরুণ আর্মি অফিসার হিসেবে। একবার স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আরেকবার ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব ঘটানোর মধ্যদিয়ে তিনি আবির্ভূত হন। তিনি একজন অনুসরণীয় রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। এমন সময় ক্ষমতায় আসেন যখন বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিল। তিনি একটি দর্শন দিয়ে তার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। আজো তার কোটি কোটি অনুসারী ও ভক্ত রয়েছে দেশজুড়ে।

আমরা কি তার আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শহীদ জিয়া বিলাসীতা পছন্দ করতেন না। সংসদে যোগ দেয়া নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো ক্ষোভ আছে। এটা নিরসন করতে হবে। সঠিকভাবে দল পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। তা না পারলে দলকে সংগঠিত করা যাবেনা। আজ হোক কাল হোক খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তারেক রহমানও বিদেশে। তিনি সবকিছু খোঁজ খবর নেন। দলকে শক্তিশালী করাই আসল কাজ। বিএনপির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নেতাকর্মীদের মধ্যে শত শত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসবের উত্তর আমাদেরই দিতে হবে। সকল অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি করতে হবে। জাতীয় নির্বাহী কমিটির একটি বর্ধিত সভা ডেকে খোলামেলা আলোচনা করে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম সরোয়ার, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরুসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম সভা পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, রফিক সিকদার, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন