রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে ট্রাফিক সিগন্যালে কর্তব্যরত তিন ট্রাফিক কনস্টেবলের একজন বসে মোবাইল ফোনে হাসিমুখে কারো সঙ্গে খোশগল্প করছেন। অপর দু’জন সিগন্যাল পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও রাস্তায় যানবাহন কখন কোনটা যাচ্ছে সেদিকে তাদের খেয়াল নেই! পাশ দিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সপ্তাহখানেক আগেও মৎস্য ভবন চার রাস্তার মোড়ে এমন দৃশ্য ছিল কল্পনাতীত। শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কাকরাইল ও সেগুনবাগিচা-চার রাস্তায় দিনভর চলাচলকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো ভিমড়ি খেতে হতো। দিনভর যানজট লেগেই থাকতো।
আজ মঙ্গলবার সেই চিরচেনা দৃশ্য উধাও। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা থেকে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কারণে ঢাকা এখন ফাঁকা হয়ে। শুধু শপিং মল ও মার্কেট এলাকা ছাড়া রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কোনো প্রকার যানজট ছাড়া পৌঁছানো যাচ্ছে।
সরেজমিন রাজধানীর ধানমন্ডি, রমনা, তেজগাঁও ও মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ রাজপথ একেবারেই ফাঁকা। গতকাল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি শুরু হওয়ায় গতকালের তুলনায় আজ ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অধিক ফাঁকা রয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা আজমত আলী জানান, সকাল ৯টায় মাত্র ৩৫ মিনিটে উত্তরা থেকে শাহবাগে আসেন। একসপ্তাহ আগেও দুই ঘণ্টার আগে পৌঁছানো যায়নি।
শাহবাগে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কনস্টেবল বলেন, এবার ঈদে ছুটি হয়নি। তাই বাড়ি যেতে না পারার কষ্ট থাকলেও ঈদের সময় ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় আরামে ডিউটি করা যায়।
তবে যাত্রী কম হওয়ায় বাসচালকরা অখুশি। নীলক্ষেত মোড়ে মিরপুর রুটের বাসচালক আলম মিয়া বলেন, বাসে অর্ধেকও যাত্রী হচ্ছে না। ঈদের কয়েকদিন এমনই থাকে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন