ঈদের ভীড়ে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশাল আসার পথে বিআইডব্লিউটিসি’র নৌযান ‘এমভি বাঙালী’ দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মঙ্গলবার শেষ রাতে বরিশাল বন্দরের প্রায় ২৫ কিলোমিটার উজানে মিঞারচরের কাছে নৌযানটি মূল চ্যানেলের বাইরে গিয়ে ডুবো চড়ায় ধাক্কা লাগায় স্টারবোর্ড সাইডের(ডান পাশের) রাডার সুকান ভেঙে নদীতে পড়ে যাবার পাশাপাশি প্রপেলার বাঁকা হয়ে গেছে। তবে ঐ অবস্থায়ই মারাত্মক ঝুকি নিয়ে নৌযানটি চালিয়ে সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশালে পৌছে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ঝালকাঠী হয়ে পিরোজপুরের হুলারহাট হয়ে সন্ধা ৬টার দিকে বড়মাছুয়া ঘাটে পৌছে। সেখান থেকে রাত ৮ টায় ঢাকার দিকে রওয়ায় হয়েছে বাঙালী। নৌযানটির স্টারবোর্ড সাইডের রাডার সুকান না থাকায় তা মারাত্মক ঝুকি নিয়ে একই পাশের প্রপেলার বাঁকা হয়ে যাওয়ায় চলছে ধীর গতিতে।
বুধবার সন্ধার মধ্যে ‘এমভি বাঙালী’ ঢাকায় পৌছে নিয়মিত ট্রিপে বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের সিডিউল রয়েছে। কিন্তু ঝড়ঝঞ্ঝার মৌশুমে একটি রাডার সুকান বিহীন এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রপেলার নিয়ে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালন কতটা যুক্তিযূক্ত হবে তা বলছেন না কেউ। বিষয়টি নিয়ে কতৃপক্ষ বুধবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন বলে জানা গেছে। ঈদের আগে পড়ে নৌযানটিতে যাত্রী পরিবহন যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপদ নৌ যোগাযোগ যথেষ্ঠ ঝুকির মধ্যে পড়ল।
২০১৪সালে প্রায় ২৭কোটি টাকা ব্যায়ে এমভি বাঙালী সংগ্রহ করার পরে দূর্বল পরিচালন ব্যাবস্থার কারনে এধরনের একাধীক দূর্ঘটনা ঘটেছে। একাধীকবার রাডার সুকান ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। অথচ প্রতিটি দূর্ঘটনার সময়ই নৌযানটির হুইল হাউজে দক্ষ (?) মাষ্টার ও হুইল সুকানী ছাড়াও দিক নির্দেশনাকারী পাইলটও থাকছে। উপরন্তু নৌযানটিতে জিপিআরএস ছাড়াও মনিটর সহ রাডারও রয়েছে। যার মাধ্যমে নৌযানটির অবস্থান ছাড়াও নদ-নদীর গভীরতাও প্রত্যক্ষ করা সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন