শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

সুুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ববিতার ঈদ উদযাপন

অভি মঈনুদ্দীন: | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ও ডিসট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআইআই)এর শুভেচ্ছাদূত ববিতা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। গতকাল ১০ জুন দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ববিতার বাসভবনে ববিতা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ঈদ পূর্ণমিলনী করেন। এই সময়ে ববিতার সঙ্গে ছিলেন ববিতার বড় বোন সূচন্দা ও ছোট বোন চম্পা। চল্লিশ জনেরও বেশি শিশু ববিতা, সুচন্দা ও চম্পার সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটায়। শিশুরা ববিতাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তারসঙ্গে ঈদ আড্ডায় মেতে উঠে। এই সময় ববিতার দুই বোনও তাদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠে। তিন বোনকে শিশুরা গানও শোনায়। তারা রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে ও রেল লাইনের ঐ বস্তিতে জন্মেছিলো একটি ছেলে গান দুটি গেয়ে শোনায়। গানের পাশাপাশি শিশুরা সোহাগ চাঁদ বদনি ..... নাচোতো দেখি গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করে। শিশুদের নাচে গানে মুগ্ধ হন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা মুগ্ধ হন। ডিসিআইআই’র শুভেচ্ছাদূত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ববিতা। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও তিনি ডিসিআইআই’র হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হয়ে কাজ করছেন। একজন আন্তর্জাতিক শিল্পী হিসেবে ববিতা দেশের জন্য এর আগে সিনেমাতে অভিনয় করে যেমন সুনাম কুঁড়িয়েছিলেন ঠিক তেমনি দেশের হয়েই তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন। ববিতা বলেন, ‘এর আগেও ঈদে আমার জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে বিশেষভাবে সময় কাটিয়েছি। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু প্রতিভাবাবন এবং মেধাবী। শুধু লেখাপড়াই নয়, লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন কাজে বেশ পারদর্শী। শিশুরা আমাদের গান গেয়ে শুনিয়েছে, নৃত্য পরিবেশন করেছে। তাদের এই পরিবেশনায় আমি ও আমরা আবেগাপ্লুত। তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ আমি। আমি মনে করি, উপযুক্ত সুবিধা পেলে তারাও সমাজ ও দেশের কর্ণধার হয়ে উঠবে একদিন ইনশাল্লাহ। আমি সমাজের সকল বিত্তবান ব্যক্তিদের ডিসিআইআই’র শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। শিশুদের নাচ গানের পরিবেশন শেষে ববিতা, সূচন্দা ও চম্পা তাদের সবার সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। সুচন্দা বলেন, ‘ববিতার এই আয়োজনে ফুলের মতো শিশুদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমার বাবা প্রায়ই বলতেন একই বৃন্তে তিনটি ফুল। আমরা তিন বোন সেই তিনটি ফুল হয়ে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই, শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। নি:সন্দেহে ববিতার এই আয়োজন তার প্রতি আমার ভালোবাসা আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।’ চম্পা বলেন, ‘ববিতা আপার এটা এক অন্যরূপ দেখা আমার। তার মধ্যে যে মাতৃত্ববোধ আছে, তা বারবার কাজের মধ্যদিয়ে প্রমাণ করেছেন। ছোট ছোট শিশুদের মায়ের ভালোবাসা দিয়ে, মমতা দিয়ে যেভাবে শিশুদের আগলে রেখেছেন তা পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাকে অনেক অনেক গর্বিত করে। শিশুদের সঙ্গে আপার ঈদ উদযাপন আমাকে অনেক আনন্দিত করেছে। ’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন