উত্তর: রমজান অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এ মাসে কুরআনুল কারিম নাযিল হওয়ার কারণে এ মাসের মর্যাদা আরো বেড়ে গিয়েছে। (দেখুন: সূরা আল-বাকারাহ, ২: ১৮৫) এ মাস যে পাবে, তার উপর রোজা পালন করা ফরজ। আর প্রত্যেক রোজাদারের জন্যে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ পুরুষ্কার। (দেখুন: সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৫৫৮৩) তাছাড়া রাসূল (সা.) এর হাদিসে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু তার গুনাহসমূহকে মাফ করে নিতে পারল না, তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (দেখুন: সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং ৯১৫) সুতরাং এ মাসে আমাদেরকে সতর্কতার সাথে সকল বিধানগুলো পালনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সফলতার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের জন্যে জরুরি। এ নিবন্ধে কতিপয় পন্থা উল্লেখ করা হলো।
নিয়্যতকে শুদ্ধ করুন
ইসলামে প্রত্যেক ভাল কাজের গ্রহণযোগ্যতা এবং তার উপর ভিত্তি করে পুরুষ্কার পাওয়া নির্ভর করে নিয়্যতের উপর। (দেখুন: সহিহ বুখারি, হাদিস নং-১) সুতরাং কেউ যদি রমজান থেকে সত্যিকারের সফলতা লাভ করতে চায় তাহলে তার প্রাথমিক কাজ হবে নিয়্যতকে পরিশুদ্ধ করা। প্রত্যেক ইবাদাত হবে শুধুমাত্র আল্লাহর ক্ষমা, করুনা এবং খুশি প্রত্যাশা করা।
যত বেশি সম্ভব নিজেকে ইবাদাতে সম্পৃক্ত রাখা
ইবাদতের ব্যাপারে আমাদের একটা ভুল ধারণা হলো, শুধুমাত্র সালাত, সাওম, যাকাত কিংবা মসজিদের ভিতরে কৃত কাজগুলো ইত্যাদিকে ইবাদত মনে করি। এটি ঠিক নয়। বরং একজন মুসলিমের প্রত্যেকটি কাজ যদি তা আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী হয় তাহলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। উদাহরণস্বরুপ, আমরা আমাদের চাকুরি কিংবা ব্যবসাকে তুলে ধরতে পারি। তা যদি শরয়ি বিধান অনুযায়ী হয় তাহলে তাও ইবাদত। অর্থাৎ প্রত্যেকটা কাজ হালাল ও হারাম হিসেব করে সম্পাদন করা।
কুরআন তেলওয়াত এবং এর অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝার চেষ্টা করা
কুরআন সমগ্র জাতির হেদায়েত তথা সঠিক পথ দেখানোর জন্যে নাযিল হয়েছে। (দেখুন: সূরা আল-বাকারাহ, ২: ১৮৫) সুতরাং তা শুধু তেলওয়াত নয় বরং বুঝার চেষ্টা করা আমাদের প্রত্যেকের জন্যে জরুরি। আমাদের সমাজে রমজান মাসে অনেকেই কুরআন খতম অর্থাৎ সম্পূর্ণ কুরআন তেলওয়াত করে থাকেন। এটি ভাল কিন্তু এর সাথে সাথে তার বাণী বুঝার চেষ্টা করতে হবে। রমজান কুরআন নাযিলের মাস হওয়ায় এটিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। তাছাড়া অলস সময়গুলোতে আমাদের মুখস্ত আয়তগুলোকে পাঠ করতে পারি বার বার।
বেশি বেশি যিকর বা আল্লাহকে স্মরণ করা
যিকর সম্পর্কে আমাদের একটা ভুল ধারণা হলো তসবিহ কিংবা হাতের আঙ্গুলের কর গুনে আল্লাহ ও তাঁর সুন্দর নামগুলো কিংবা কলেমা পাঠ করাকে বুঝে থাকি। এটি ঠিক নয়। যিকরের অনেকগুলো পন্থার মধ্যে এটি একটি। সবচেয়ে কার্যকর যিকর হলো, প্রত্যেকটা কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহকে এভাবে স্মরণ রাখা যে এগুলো তাঁর দেয়া বিধান অনুযায়ী হচ্ছে কিনা কিংবা এটির কারনে আমাকে তাঁর সামনে লজ্জিত হতে হবে কিনা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা। মসজিদে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন