চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের হাজার হাজার ঘরছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান এবং চলমান নারকীয় তান্ডবলীলা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ইস্যু করে এপ্রিল মাসে সারা রাউজানে শুরু হওয়া নারকীয় তান্ডবলীলায় পুরো রাউজান অশান্ত জনপদে পরিণত হয়। তাছাড়া মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অথচ মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশ লোকজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবী উত্থাপন করেন।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর লিখিত বক্তব্য বলে, কিছু দুস্কৃতকারী বোল পাল্টে নিজস্ব ন্বার্থ সিদ্ধির মানসে স্থানীয় এমপি সাহেবের নিজস্ব বাহিনীর ছত্রছায়ায় এ সকল ভাঙ্কচুরসহ বিশৃংখলায় অংশগ্রহণ করছে। রাউজান জুড়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির তরিক্বতের অনুসারীদের উপর এমন নির্যাতন শুরু হয়েছে যে, এ পর্যন্ত রাউজান জুড়ে ২৬ টি তরিক্বতের খানকাহ্ (এবাদতখানা), ৪৬ টির অধিক বাড়ীঘর ও ১৮ টির অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে দুস্কৃতিকারীরা ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ভাংচুর, চাঁদাবাজি ও ক্ষয় ক্ষতির আনুমানিক পরিমান ৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় চলমান এ বিভীষিকাময় জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন হতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিয়ে, শান্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে এনে কাগতিয়া দরবার শরীফ ও কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ. মাদ্রাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে রাউজানের ঘরছাড়া মানুষ নিরাপদ জীবন ফিরে পেতে চায়। এবাদতখানা, বাড়ী-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির সুষ্ঠু তদন্ত চায়। সাথে সাথে যারা বঙ্গবন্ধুর শান্তিময় এ দেশকে অশান্ত করার মিথ্যা পাঁয়তারা করছে এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ধর্মীয় কলহ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের উজ্জ্বল ভাব-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তাদের এ অরাজক কার্যক্রম বন্ধে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তমেক্ষপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সরওয়ার কামাল, মুনিরীয়া যুব তবলীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ছিবগাতুল্লাহ আরিফ, ইষ্ট ওয়েষ্ট বিম্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ শহিদুল আলম, ঢাকা জেলার এশায়াত সম্পাদক মাওলানা রাকিব উদ্দীন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন