শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

২৫ বছর পর পাবনায় শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা গুলিবর্ষণ মামলার রায় আগামীকাল বুধবার

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ৭:২৯ পিএম

দীর্ঘ ২৫ বছর পর আগামীকাল বুধবার আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

সোমবার পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. রোস্তম আলী উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই আদেশ দেন। এসময় আসামীদের মধ্যে জেল হাজতে থাকা বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অভিযুক্ত
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সরাকরী কৌশলী পিপি এ্যাড. আখতারুজ্জামান মুক্তা জানান, শেখ হাসিনাকে গুলিবর্ষণ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষী আসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে হামলার ঘটনায় আসামীদের সংশ্লিষ্টতা প্রমানিত হয়েছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ খন্দকার জানান, এ মামলায় হাইকোর্টে লিভ টু আপিল চলমান, এরপরও রায়ের দিন ধার্য্য হয়েছে। কোন সাক্ষীই সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযুক্ত আসামীরাই যে বোমাবাজি, গুলি করেছেন তা বলেন নি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রায় হলে অবশ্যই আসামীরা খালাস পাবেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী গোলাম হাসনায়েন, আখতারুজ্জামান মুক্তা, ওবায়দুল হক প্রমূখ। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম গ্যাদা, মাসুদ খন্দকার, সনৎ কুমার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে রেলপথে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত শেখ হাসিনার কামড়া লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে ঐ দিনই ঈশ^রদী জিআরপি থানার ্ওসি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটির অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। জানা যায়, মামলাটি দায়ের করার বছরে এই মামলায় পুলিশ কোন স্বাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করেন। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে ১৯৯৭ সালের ৩রা এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন